যেসব কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৪৪

রমজান মাসে রোজা রাখা একটি ফরজ বিধান। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও সবল মুমিনের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে রোজা ছেড়ে দেওয়া বা ভঙ্গ করারও অবকাশ আছে। তবে এসব কারণে রোজা ছাড়লেও পরে তা কাজা করতে হবে।

যেসব কারণে রমজানে রোজা ছাড়ার অনুমতি রয়েছে। আসুন সে বিষয়গুলো জেনে নিই

সফর

যদি কেউ শরিয়ত সম্মত সফরে থাকে তা হলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে; তবে তা পরে কাজা করে নিতে হবে। কিন্তু সফরে যদি কষ্ট না হয়, তা হলে রোজা রাখাই উত্তম। আর যদি কোনো ব্যক্তি রোজা রাখার নিয়ত করার পর সফর শুরু করেন, তা হলে সে দিনের রোজা রাখতে হবে।

অসুস্থ রোগী

অসুস্থ রোগী রোজা রাখলে যদি তার রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা অন্য কোনো নতুন রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা হয় অথবা অসুস্থতা সারতে বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা হয়, তা হলে এমন অসুস্থ ব্যক্তির রোজা না রাখার অনুমতি আছে। তবে সুস্থ হওয়ার পর রোজাগুলো কাজা করে নিতে হবে।

তবে অসুস্থ অবস্থায় রোজা ছাড়তে হলে কোনো অভিজ্ঞ দীনদার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অথবা নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। শুধু নিজের কাল্পনিক খেয়ালের বশীভূত হয়ে আশঙ্কাবোধ করে রোজা ছাড়া জায়েজ হবে না। এভাবে রোজা না রাখলে কাজা ও কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।

পুনরায় রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায়

রোগ মুক্তির পর যে দুর্বলতা থাকে তখন রোজা রাখার দ্বারা যদি পুনরায় রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয়, তা হলে রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে, পরে কাজা করে নিতে হবে।

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী স্ত্রীলোক রোজা রাখলে যদি নিজের জীবনের ব্যাপারে বা সন্তানের জীবনের ব্যাপারে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে বা রোজা রাখলে দুধ শুকিয়ে যাবে আর সন্তানের সমূহ কষ্ট হবে- এমন নিশ্চিত হলে তার জন্য রোজা ছাড়া জায়েজ, রাখতে না পারা রোজাগুলো পরে কাজা করে নিতে হবে।

হায়েজ বা নেফাস অবস্থায়

হায়েজ বা নেফাস অবস্থায় রোজা ছেড়ে দিতে হবে এবং পবিত্র হওয়ার পর কাজা করে নিতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :