গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি

সামিয়া রহমানের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ

আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ মে ২০২১, ১৭:৩৩

শিকাগো জার্নালের পক্ষ থেকে অ্যালেক্স মার্টিন নামে যে ব্যক্তির পাঠানো ইমেইলের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তোলা হয়েছিল সেটি ভুয়া ছিল বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমান।

গত ৩১ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি ওইদিন ট্রাইবুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

পরে গত ১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমানের করা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। ঈদুল ফিতরের দুইদিন আগে আদালতের ওই আদেশ পাওয়ার পর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে সিআইডি।

ঢাকা টাইমসকে শুক্রবার মুঠোফোনে সামিয়া রহমান জানান, আদালতের ওই আদেশ ঈদের দুইদিন সিআইডির কাছে এসে পৌঁছেছে। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাকে নিয়োগ করা হয়েছে সেটা তিনি জানতে পারেননি।

সামিয়ার মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সামিয়া রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্ল্যাজারিজমের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি শিকাগো জার্নালের ইমেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে পদাবনতি দিয়ে যে শাস্তির সুপারিশ করে তা মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট।

শিকাগো জার্নাল থেকে অফিসিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনও ইমেইল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেইলে পাঠানো হয়নি। অ্যালেক্স মার্টিন নামে এক ব্যক্তির পাঠানো ইমেইলের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, অ্যালেক্স মার্টিন নামে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনও কাজ করেননি। এমনকি শিকাগো প্রেসে এই নামে কোনও ব্যক্তিও নেই। সামিয়া রহমান শিকাগো জার্নালের অফিসিয়াল এডিটর ক্রেইজ ওয়াকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্তের তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে জেনেছেন।

ক্রেইজ ওয়াকার জানিয়েছেন, অ্যালেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনও শিকাগো জার্নালে ছিল না। এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই মেইলের কোনও সফট কপি সামিয়া রহমানকে দেয়নি। মিথ্যা ও বানোয়াট মেইল আইডির ওপর ভিত্তি করেই সামিয়া রহমানকে ‘চৌর্যবৃত্তির’ মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন সামিয়া।

এ ব্যাপারে ঢাকা টাইমসকে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, সামিয়া রহমানের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তবে তিনি ঈদের ছুটির কারণে মামলাটির তদন্ত কাজ এখনও শুরু করেননি।

এ ব্যাপারে সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নজরুল ইসলাম শামীম ঢাকা টাইমসকে বলেন, আদালত থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। সিআইডির ওই তদন্ত প্রতিবেদন এখনও আদালতে আসেনি।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এএ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :