বিশ্ববিদ্যালয় কেন র‌্যাঙ্কিংয়ে নেই

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ
 | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০২১, ১৬:০৫

বিগত এক দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং নিয়ে সমাজে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সেই আলোচনার সূত্র ধরে অনেক কথাই আমরা শুনছি। আমরা সরকার, শিক্ষক, আমলা, রাজনীতি, উপাচার্যকে এই সংকটের জন্য দায়ী করে কথা বলছি। আমাদের এসব কথা যে সরকার শুনতে পায় না বা মহামান্য আচার্য যে জানেন না তা নয়। আমরা যারা সমালোচনা করি তাদের আসলে ক্ষমতা নেই। আর সেজন্যই আমরা অন্যের সমালোচনা করি হয়তো। সমালোচনা মূল্যবান অবদান রাখে। তবে সেটা কর্তৃপক্ষকে জাগিয়ে তুলতে খুব বেশি সময় নিয়ে ফেলে। কারণ সমালোচনা প্রথমে কর্তৃপক্ষ ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনা হিসেবে দেখে থাকে। আবার আমরা কারও প্রতি হিংসা থেকে সমালোচনা করি। সত্যের সঙ্গে যখন এগুলো গুলিয়ে যায় তখন মন্দ কাজগুলো সম্পন্ন করে সুবিধাবাদীমহল। হারিয়ে যায় ভালো চিন্তা। ভালো মানুষকে প্রশাসন দানব মনে করে।

একথা অনস্বীকার্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে উপাচার্যকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে। আর সেজন্য যে আমরা উপাচার্যের সাদামাটা কথাকেও সমানে নিয়ে এসে নির্দয় সমালোচনা করবো সেটা বিবেচনার দাবি রাখে। আমরা জানি আমাদের অনেক সমস্যা আছে। সেই সমস্যা মোকাবেলা আমাদেরই করতে হবে। সেক্ষেত্রে সমালোচনার পাশাপাশি উপাচার্যকে সহযোগিতাও করতে হবে।

মিডিয়ার সমালোচনাকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে তুলনা করে হেয় করা হয়েছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে অনেকটা ধারাবাহিকভাবে একটি পত্রিকা অবমাননা কর অবস্থান প্রকাশ করলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে। আমরা এসবেরও সমালোচনা করছি। একটি বিজ্ঞাপন দেখছিলাম- দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়- এটাকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় প্রয়োগ করতে চাই। কারণ সমালোচনা ভালো কিছু পেতে সাহায্য করে। আমরা বিশ্বাস করি সমালোচকরা একটু ভেবে চিনতে সমালোচনা করবেন।

র‌্যাঙ্কিং নিয়ে আমরা উপাচার্যদের কাছে বেশি কিছু কি আশা করতে পারি কি? উপাচার্য কি করতে পারেন? ঢাকা কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কি রাতারাতি সব বদলে দিতে পারেন? আমরা ভালো করেই জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমস্যা ক্লাস ও হলে যে পরিমাণ ধারণক্ষমতা আছে তার চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়তে চায়। কিন্তু সকলের কি যোগ্যতা আছে? আমরা জানি নেই। তবুও কেন তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করা হয়? শিক্ষকরা সকলে মিলে কি সেটা রুখে দিতে পারেন? উপাচার্য কি সেই আবেদনটি সরকারের কাছে রাখতে পারেন?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সমস্যা মেটাতে নতুন হল নির্মাণ চলছে। আমরা সমস্যাটা কিন্তু নতুন হল নির্মাণ না করেই সমাধান করতে পারতাম। আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বরাবর আবাসিক ছিল। কখন যে সেখানে এমন অবস্থা হলো আমরা জানতেই পারলাম না। এখন যখন জেনেছি তখন আমরা বিভাগ থেকে কম ছাত্র ভর্তির জন্য আবেদন করেছি এবং সেটা কার্যকরী হয়েছে।

আমাদের আবেদন যখন শোনা হয়েছে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন সরকার শুনবে কি? আমরা যারা সমালোচনা করি তারা কি কখনো সরকারকে বলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা কমানো হোক যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় ভাল থাকে। ছাত্র ভর্তি কমাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কি আমরা শুনছি?

মাঝে মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। দেখি ক্লাসে জায়গা নেই। সেখানে দুটি সেশন করা হয়েছে তবুও জায়গা নেই। এই যদি হয় ক্লাসের অবস্থা তবে হলে কি করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয় তা অনুমেয়। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মস্তবড় দায়িত্ব দিয়েছি। সেটা হলো সাতটি কলেজ। যেখানে হাজারো সমস্যায় জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাঁচাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছিল সেখান থেকে আবার আমরা ফিরে আসতে চাইছি। কিন্তু ৮-৯ বছর হলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কলেজগুলোর দায়িত্ব নেয়নি। এতবড় একটি দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহন করলেও অন্যরা কিন্তু এমন সমস্যা মুক্ত। সমালোচকরা কি তাদেরকে একটি প্রশ্ন করেছেন কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে না? সকল প্ৰত্যাশা কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে?

আমরা শিক্ষার মান উন্নয়ন চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু সেই জনবল আমরা কাজে লাগানোর কোনো ব্যবস্থা করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র শিক্ষক অনুপাত নির্ধারিত আছে। একটি কোর্সের বিপরীতে দুটি লেকচার ক্লাস এবং দুই ঘন্টার একটি টিউটোরিয়াল ক্লাস নেয়ার প্রয়োজন শিক্ষার মান উন্নয়নে। আমরা কি টিউটোরিয়াল ক্লাস নিচ্ছি?

আমরা বরং খুব ভালো শিক্ষক হয়ে যাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে। সেখানে যথাসময়ে হাজির হলেও নিজের মূল কাজের জায়গায় দারুণ অবহেলা করি। শিক্ষকদের এই অধঃপতন কি উপাচার্য ঠেকাতে পারেন? কোনো কোনো উপাচার্য এসব না পারলেও ভালো একজন শিক্ষক নিপীড়ন করতে ওস্তাদ।

আমরা কিছু ওস্তাদ উপাচার্যর খবর পত্রিকায় পাচ্ছি। যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাকি ১৪১ জনকে এক দিনে নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা জাহানগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষক দর্শন বিভাগের কল্যাণ বিবেচনা করে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের দাবি নিয়ে পরিত্যক্ত হয়ে ফিরেছি আদালত থেকে। ভালো চেয়েও পরিত্যক্ত-কেউ কি আর ভালো চাইবে?

আমরা জানি দর্শন হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন একটি বিষয়। দার্শনিক শতবর্ষে কিংবা হাজার বর্ষে জন্মে। সমাজে দর্শন বিষয়ের উপর কী রকম জনবল দরকার সেটাও আমরা জানি। এসব বুঝেও যখন অন্য পথে চলি তখন প্রতিবাদ আসবে। আর সেই প্রতিবাদকে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হলে উপাচার্য বা প্রশাসনকে সকলে সমালোচনা করবেই।

আমি বিভাগের সভাপতি হয়ে প্রভাষকদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করবার প্রস্তাব দিলে তৎকালীন মাননীয় উপাচার্য সায় দেন। দুর্ভাগ্য হলো আমি এবং ওই উপাচার্য কেউই পারিনি মেয়াদ শেষ করতে। যাদেরকে আমরা নিয়োগ দিয়েছিলাম তারাই আন্দোলন করেছে।

আজ আমরা উপাচার্য, বিভাগের সভাপতি, আদালতকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের পাশে এখন আর কেউ নেই। বরং কীভাবে আমাদেরকে শায়েস্তা করা যায় তার পরিকল্পনায় করা হচ্ছে হয়তো। এমন মনে করা কি অন্যায় হবে যে এই ছয়জন প্রভাষক নিয়োগ আমাদেরকে শায়েস্তা করবার জন্য- আমাদের অপরাধ কারণ আমরা টেকসই উন্নয়নের কথা বলি, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিংয়ের কথা ভাবি। উন্নয়ন ও বৃদ্ধি এক নয় জেনেও ওনারা আমাদের পরাজয়ে হয়তো আনন্দিত।

অনেক উপাচার্য বোঝেন এবং পরিবর্তন চান। কিন্তু তিনি অসহায়। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সহায়তা করতে চেয়েছিলাম। তিনি পত্রিকার সমালোচনায় কষ্ট পান। কিন্তু শিক্ষকদের অভিমতকে তিনি বিবেচনা করতে অপারগ। কারণ তিনি একটি দলের সহযোগিতা নেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায়। এবং তাদেরকে তিনি হারাতে চান না। কারণ তিনি জানেন সাবেক উপাচার্যরা কেন ব্যর্থ- ভালো চাইতে গেলে পদ ছাড়তে হবে যা কেউ চায় না হয়তো। বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয় রাজনীতি বন্ধ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং থাকবে সুদূর পরাহত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত শিক্ষার ক্ষেত্র বানাতে উপাচার্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। উপাচার্যরা লক্ষ্য করবেন কি কীভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করছেন? তিনি কান পেতে সমাজের কথা শুনেন এবং সেই ভাবে দেশ চালাচ্ছেন। তাই শত অভিযোগের পরেও তিনি সকলের প্রিয়। তাই বলতে চাই উপাচার্য মহোদয়গণ আপনারা সমাজে কান পেতে শুনুন সমাজ কী চায়। দলের কথা শুনলে করুণ পরিণতি হবে।

সমাজ চায় ভালো একজন শিক্ষককে মূল্যায়ন করা হোক। আছে কি সেই সুযোগ? আমি বলবো আছে। একবার আপনারা জেগে উঠুন। বড়জোর আপনি মেয়াদ পূরণে ব্যর্থ হবেন। কিন্তু আপনার অবদান দেশবাসী সারাজীবন মনে রাখবে।

আপনি সরকারকে বলুন হলে যতগুলো সিট আছে তার বাইরে আপনি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি করবেন না। সাতটি কলেজের জন্য সাতজন প্রো./উপ উপাচার্য সরকার দিতে পারেন। সেখানে আলাদা একটি প্রশাসন থাকতে পারে যেমন ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাস আছে বিভিন্ন শহরে। তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পারবেন সব সামাল দিতে।

সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব শিক্ষক যান তাদেরকে ঘরে ফেরানোর পলিসি নিতে পারেন। যেহেতু লিয়েন সিস্টেম আছে সুতরাং ওনাদেরকে লিয়েন নিতে বলা যেতে পারে। অথবা কলেজেগুলোতে খণ্ডকালীন কাজ করবার সুযোগ দিতে পারেন। তাতে করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ উঁচু মান অর্জন করতে পারবে।

অনেকেই ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে। কিন্তু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি আছে। সেখানে তারা দলে বিভক্ত। তবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে বাধা নয়।

বিদেশি আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে লেখা প্রকাশ পেলে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দিতে পারেন। ভারত বিদেশি ডিগ্রি থাকলে ইনক্রিমেন্ট দিয়ে থাকে।

যারা প্রশাসনে আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে রাজনীতি করবেন না। শিক্ষক আপনার সন্তানের মায়ের মতো। তাকে যদি পুষ্টিহীন করে নিজে ভালো থাকেন তবে আপনার সন্তান কিন্তু দুর্বল শরীর নিয়ে জন্ম নেবে। আপনার সন্তানের বিকাশে শিক্ষকদের মর্যাদা দেয়া অপরিহার্য।

মিডিয়া হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করে সরকার ও উপাচার্যকে দিতে পারেন। একসময় মিডিয়া সরকার অপসারণকে দেখতো উন্নয়ন ও পরিবর্তনের নিয়ামক। কিন্তু এখন সেটা বদলে গেছে। আমাদের ধারণা উপাচার্যকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু করাতে মূল সমস্যাগুলোর থেকে সমাজের মনযোগ ভিন্ন জায়গায় সরে যাচ্ছে। মিডিয়া স্বীকার করবে অতিরিক্ত ছাত্রভর্তি, শিক্ষকদের অবহেলা, ছাত্রদের সামর্থ্য সমস্যাগুলো বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার। শিক্ষকরা যাতে উপযুক্ত সন্মান পায় সেজন্য সরকারকে বোঝানোর দায় আংশিক হলেও নিতে হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড কথাটা কাজে রূপান্তর করতে হবে।

আশা করি রাজনীতির খবরকে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে শিক্ষাকে মূল আলোচনায় নিয়ে আসতে হবে। রাজনীতিবিদ নয় শিক্ষক পারে সমাজ উন্নয়ন, পরিবর্তন ও শান্তির সুবাতাস ও সুসংবাদ আনতে। যুক্তরাষ্ট্র গবেষণা ও শিক্ষায় মনযোগ দেয় বলেই আজ আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা-কোভিড তাদের দমাতে পারেনি। আসুন আমরা শিক্ষা-গবেষণার উন্নয়ন নিয়ে ভাবি। একসময় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের পেছনে ঘুরতো। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পেছনে বিশ্বব্যাংক ঘরে। সুতরাং, ভ্যাকসিনের জন্য কান্না না করে প্রতিবাদে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু, নিজের বলে স্বাধীনতা পেলে কেন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে র‌্যাঙ্কিংয়ে আনতে পারবো না?

আমরাতো র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পড়াশোনা করে ফিরেছি। কেন তবে আমাদের সন্মান পাবো না? আমাদের কেন নিপীড়ন, নির্যাতন, অবহেলা, বঞ্চনার শিকার হতে হবে?

লেখক: অধ্যাপক ও গবেষক, ন্যায় ও সুশাসন, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :