‘বিদেশে টাকা পাচার করে থাকতে পারেন ইভ্যালির রাসেল’

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিদেশে টাকা পাচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট নির্দেশিত বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সোমবার বিকালে ধানমন্ডিতে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে লকার ভাঙার কাজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, এখন পর্যন্ত ইভ্যালির যত কাগজ আমরা পর্যালোচনা করেছি, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে থাকতে পারে। তবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তদন্ত করছে। পরে নিশ্চিত হয়ে জানা যাবে।
বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি তিনি (মোহাম্মদ রাসেল) ও তার স্ত্রী প্রতি মাসেই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতেন। বিশেষ করে দুবাই যেতেন। এসব খতিয়ে দেখছি।’
গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে তারা সাধ্যমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি চলমান প্রক্রিয়া। এমন নয় যে, কালকে চাইলেই আমরা গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে পারবো।’
এর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বেলা ৩টায় ইভ্যালির দুটি লকার ভাঙার কাজ শুরু করেন বোর্ডের পরিচালক ও সদস্যরা। প্রথম লকার ভেঙে লকারের ভেতর পাওয়া যায় সিটি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংকের বেশ কয়েকটি ব্লাঙ্ক চেক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাচ্চাদের পড়ার বই এবং দ্বিতীয় লকারে মিলেছে দুই হাজার ৫৩০ টাকা। এছাড়া মিলেছে ঢাকা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ইস্যুকৃত অসংখ্য চেক। এসব চেকে সই রয়েছে ইভ্যালির শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/কেআর)

মন্তব্য করুন