কেন হৃত্বিকের ঘর ছেড়েছিলেন সুজান, জানেন সত্যিটা?

নায়ক হিসেবে বলিউডে অভিষেকের বছরেই সুজান খানকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। ১৪ বছর ধরে সুখেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য। এই সময়ের মধ্যে তাদের সংসার আলো করে আসে দুই পুত্রসন্তান। কিন্তু হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন। ২০১৪ সালে দুই ছেলেকে নিয়ে হৃত্বিকের সংসার ছাড়েন সুজান খান। বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। এখনো দুই ছেলে নিয়ে আলাদাই থাকেন সুজান।
কিন্তু কেন সে সময় হৃত্বিকের মতো একজন সুপারস্টারের সংসার থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সুজান খান? জানেন সেই গল্প? সালটা ২০১০। হৃত্বিক ওই বছর ‘কাইটস’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেন। সেখানে তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন মেক্সিকান অভিনেত্রী বারবারা মোরি। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নাকি এই বিদেশি সুন্দরীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন ‘কাহো না প্যায়ার হ্যায়’ তারকা হৃত্বিক।
এ নিয়ে বলিউডে সে সময় ব্যাপক চর্চা হয়েছিল। তবে আরও বেশি চর্চা শুরু হয়েছিল শুটিং চলাকালীন সময়ে বারবারা মোরিকে দেওয়া হৃত্বিকের বিশেষ উপহার নিয়ে। বাংলাদেশি টাকায় যার দাম তিন কোটি টাকারও বেশি। এই খবর কানে যেতেই ধৈর্য্য বিপদসীমায় পৌঁছে গিয়েছিল অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সুজান খানের। এই সম্পর্কের জেরেই নাকি পরবর্তীতে হৃত্বিকের ঘর ছাড়েন তিনি।
কিন্তু বারবারাকে কী এমন উপহার দিয়েছিলেন হৃতিক? যার জেরে এত বড় একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সুজান খান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বারবারাকে একটি ভ্যানিটি ভ্যান উপহার দিয়েছিলেন বলিউডের ‘গ্রিক গড’ হৃত্বিক। এই ধরনের ভ্যানিটি ভ্যানকে সাধারণত একটি ছোট বাড়িই বলা যায়। তাতে যেমন থাকে গোসলের ঘর, তেমনই থাকে আরাম করা ও পোশাক রাখার জায়গা, এমনকি রান্নার ব্যবস্থাও।
মেক্সিকান অভিনেত্রী বারবারা নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন ছবির শুটিং করতে। সেখানে যাতে তিনি নিজের বাড়ির কথা মনে না করেন, সে জন্যই তাকে ওই ভ্যানিটি ভ্যানটি উপহার দিয়েছিলেন হৃতিক। সেটি পেয়ে নাকি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন বারবারা। তিনি ভাবতেই পারেননি, এত দামি উপহার কেউ তাকে দিতে পারে। হৃত্বিক তখন তাকে বলেন, তাদের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ওই উপহার গ্রহণ করতে।
কিন্তু হৃত্বিকের দেওয়া উপহার বারবারা সাদরে গ্রহণ করলেও মেনে নিতে পারেননি অভিনেতার স্ত্রী সুজান খান। তখন থেকেই নাকি এই তারকা দম্পতির সম্পর্কে ভাঙন ধরে। ঘুন ধরতে শুরু করে সংসারে। একসময় সেই ঘুন একেবারে খেয়ে ফেলে সংসারটাকে। এরপর ২০১৪ সালে পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সুজান। হৃত্বিককে ডিভোর্স দিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন রোশন পরিবার থেকে।
যদিও যার কারণে সংসারটা ভেঙেছিল বলে গুঞ্জন, সেই বারবারা মোরিকে সবসময় বন্ধু বলে এসেছেন হৃত্বিক রোশন। কিন্তু তাতে মন ভেজেনি সুজানের। ওদিকে বারবারাও ভারত ছেড়ে চলে যান তার দেশে। ২০১০ সালে ‘কাইটস’-এর পর আর কোনো বলিউড ছবিতে তাকে দেখা যায়নি।
তবে শুধু বারবারা নয়, ‘কাইটস’ মুক্তির পর অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গেও হৃত্বিকের প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তা নিয়ে অনেক কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে একসময়। হয়েছে মামলা মকদ্দমাও। হৃত্বিক-সুজানের সংসার ভাঙার পেছনে কঙ্গনার এন্ট্রিকেও দায়ী করেন অনেকে। যদিও কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কখনো কিছু বলেননি অভিনেতা।
ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/এএইচ

মন্তব্য করুন