বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০২২, ১৯:০৬| আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২২, ২০:৩৬
অ- অ+

আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া, বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করছি।

শুক্রবার বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখু মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের প্রতি দয়া ছিলো, তাদের জন্য সবকিছু বিলিয়ে দিত বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে মানুষ এদেশ স্বাধীন করেছে। পরবর্তীতে এ দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে কাজ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। তখনই ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় জীবনে একটি দুর্ভাগ্যের দিন। কারণ এ দিন ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নেয় জাতির পিতার প্রাণ। আমরা দুই বোন তখন বিদেশে থাকায় বেঁচে গেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, তারা আমাদের দেশে আসতে দিতে চায়নি। শত বাধা উপেক্ষা করে আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম। দেশে ফিরে এসেছিলাম একটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে। সেই লক্ষ্য হলো- আমার বাবা সারা জীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন, তা যেন ব্যর্থ না হয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজ আমাদের এগিয়ে যাওয়ারর পালা। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমি কাজ করছি।

বক্তব্যে শিশুদের দেশের প্রকৃত ইতিহাস শেখানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদেরকে ইতিহাসটা শিখাতে হবে। ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা দিবস, বাংলা ভাষার জন্য এদেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে গেছে। যে দিবসটা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এটা কিন্ত প্রজন্মের পর প্রজন্মের সব শিশুদের জানতে হবে এবং শিখাতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এই বিজয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যে আত্মত্যাগ সেই আত্মত্যাগ সম্পর্কেও সবাইকে জানতে হবে। তাহলেই তাদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। ’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ্জাহান খান এমপি, ফারুখ খান এমপি, মির্জা আজম, জাহাঙ্গির কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আশপাশের জেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিষিদ্ধ সংগঠন কর্মকাণ্ড চালালেই ব্যবস্থা: রেজাউল মল্লিক
শ্রীপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিচালক নিহত
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশের পরই নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী চীনা যুদ্ধবিমান জে-১০সি কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা