নাকুগাঁও স্থলবন্দর : ১৯ পণ্য আমদানির কথা থাকলেও হয় একটি

১৯৯৭ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু নাকুগাঁও স্থলবন্দরের। এরপর ২০০২ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথর ছাড়া সব পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি পরিদর্শন করে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালুর ঘোষণা দেন। এরপর ২০১১ সালের শেষের দিকে তিনি পূর্ণাঙ্গ বন্দরের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কিন্তু আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি। বন্দরটি দিয়ে ভারত থেকে ১৯টি পণ্য আমদানির কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এতে এক প্রকার অচল হয়ে আছে বন্দরটি।
জানা যায়, স্থলবন্দরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাড়ে ১৩ একর জমির ওপর ১৬ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এর অবকাঠামো নির্মাণ হয়। এছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নাকুগাঁও থেকে নকলা উপজেলা পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে। অথচ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম না থাকায় স্থবির হয়ে আছে বন্দরটি।স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুটান-ভারত-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় বাণিজ্য সমঝোতা চুক্তি হলে ঘুরে দাঁড়াবে নাকুগাঁও স্থলবন্দর।
জানা গেছে, বর্তমানে ভারত থেকে শুধু পাথর আমদানি করা হচ্ছে। কয়লা এলেও সেটি চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
বন্দরটি সচল রাখতে নতুন কিছু পণ্য আমদানির সুপারিশ করেন ব্যবসায়ীরা। এনবিআরের সাথে কথা বলে আরও কয়েকটি পণ্য আমদানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ও রপ্তানি বাড়াতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেসব পণ্য আমদানি করা সহজ হবে, সেসব পণ্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এ বন্দরের ওপারেই মেঘালয় রাজ্য থাকায় সেখান থেকে শুঁটকি মাছ, খৈল, সুপারি ও পশুখাদ্য আমদানি করা সহজ এবং লাভজনক হবে। এ বিষয়ে এনবিআরের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আরও কয়েকটি পণ্য আমদানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাসহ বন্দরে রপ্তানি বাড়াতে চেষ্টা চলছে। নতুন পণ্য আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি সারা বছর কর্মচঞ্চল রাখার দাবি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের।
(ঢাকাটাইমস/০২সেপ্টেম্বর/এমএইচ/এফএ)

মন্তব্য করুন