যাত্রী নামানো নিয়ে বচসা
বাসের গেট লাগিয়ে যাত্রীদের পেটানোর অভিযোগ, চালক আটক
যাত্রী নামানো নিয়ে তুচ্ছ বিরোধে রাজধানীর মিরপুরে প্রজাপতি পরিবহনের ভেতরে গেট লাগিয়ে যাত্রীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। এসময় বাসে থাকা নারীসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এই ঘটনায় বাসটির চালক জনিকে আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পরপরই চালকের সহযোগী পালিয়ে যান।
বুধবার রাতে মিরপুর ১০ নম্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, প্রজাপতি পরিবহনের বাসটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মিরপুর ১২ নম্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে মিরপুর ১০ নম্বরে পৌঁছালে সেখানে একজন যাত্রী নামেন। এরপর মিরপুর ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে আরেকজন যাত্রী নামতে চাইলে বাসের চালক জনি যাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। রায়হান চৌধুরী নামে এক যুবক চালকের এমন আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি লাঠি নিয়ে যাত্রীদের ওপর হামলে পড়েন। অনেকে পিটুনির ভয়ে বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। এদের মধ্যে ২ জন তরুণীও রয়েছেন। ঘটনার পর বাসের চালক আটক হলেও হেলপার পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী ফাতেমা, জিহাদ ও সোহাগসহ আরও কয়েকজন জানান, যাত্রী নামার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসের চালক যাত্রীদের গালিগালাজ করেন। এক যাত্রী প্রতিবাদ করলে চালক জনি তার আসন থেকে উঠে ওই যাত্রীর গালে কষে চড় মারেন। বাসের অন্য যাত্রীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে জনি বাসের গেট লাগিয়ে যাত্রীদের লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুরো বাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেক যাত্রী বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে আহত হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঘটনার পর বাসটির চালক জনিকে আমাদের জিম্মায় রেখেছি। শুনেছি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেউ অভিযোগ না দিলে কি চালককে ছেড়ে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাস কর্তৃপক্ষকে ডেকেছি, তারা আসবেন। আহত কেউ অভিযোগ না দিলে আমরা চালককে কোম্পানির লোকের জিম্মায় দেব।’
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/এসএস/ইএস)