পাগড়ির ফাঁসে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর নিথর দেহ
গাজীপুর মহানগরের পুবাইল থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দারাবাদ পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে গলায় পাগড়ি পেঁচানো অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি হাফেজ ও মাওলানা ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় শয়নকক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জিএমপির পুবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির।
নিহতের নাম হাফেজ মাওলানা আমজাদ হোসেন (৪৫)। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার পলাশপুর এলাকার মাওলানা আব্দুল আউয়ালের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আমজাদ হোসেন পুবাইলের হায়দারাবাদ শুক্কুর মিয়ার বাসায় সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে বাস করে আসছিলেন। তিনি ঢাকার পল্টন এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে হজ্প-ওমরায় লোক পাঠাতেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের৩১নং ওয়ার্ডের দাখিনখান এলাকায় তার একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আমজাদ হোসেনর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে গেছেন। রবিবার রাতে আমজাদ হোসেন বাসায় একাই ছিলেন। সোমবার মোবাইল ফোনে কল করে আমজাদ হোসেনকে না পেয়ে বাসার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজ নিতে অনুরোধ করেন তার সন্তানরা। বিকাল ৪টার দিকে তার বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে কাজের মেয়ে এসে চাবি দিয়ে দরজা খোলার পর রুমের ভেতরে আমজাদ হোসেনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
পুবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে গলায় আমজাদ হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পাগড়ি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। এছাড়াও একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটের লেখা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অর্থনৈতিক সংকট থেকে হতাশায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুবাইল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এলএ)