১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশ

বিদ্যুতের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৪২

খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে আবারও বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ। ক্ষমতাসীন সরকারকে জনবিরোধী উল্লেখ করে জনগণকে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির এই মহা সংকটের মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে দেশকে আরও সংকটের দিকে নিয়ে যাবে। জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হবে। সরকার এবং সরকারি দলের মদদপুষ্টদের লুটপাটের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ জনগণ।

বুধবার বিকালে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে দিনব্যাপী গণতন্ত্র মঞ্চের জনসংযোগ এবং সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন এবং দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে কেবলমাত্র ক্ষমতাসীনদের অনুগত এবং মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আয়ের পথ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েই গত ১১ বছরে সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। গত ৩ বছরেই দেয়া হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এই স্বজনতোষী ব্যবস্থার বৈধতা দিতে সংসদের মাধ্যমে ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের গত ১৪ বছরের শাসনামলে খুচরা এবং পাইকারি উভয় পর্যায়ে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় দামে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে আবারও বাড়ানো হল বিদ্যুতের দাম। একদিকে শিল্পে উৎপাদন খরচ বাড়ার ফলে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, অন্যদিকে ভোক্তা পর্যায়েও সরাসরি অতিরিক্ত ব্যয়ের চাপ তৈরি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে অতিরিক্ত খরচ সমন্বয় করতে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। যার প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা অভিযোগ করেন, বিগত ১৪ বছরে সরকার এবং সরকারি দলের মদদপুষ্টরা দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার করেছে। সরকারের কাছে দেশ চালানোর টাকা নেই। মাসে মাসে টাকা ছাপিয়ে তারা ব্যয় নির্বাহ করছে৷ এভাবে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়াত্বের পথে ধাবিত করছে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার। দেশকে বাঁচাতে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে এখনই এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে৷

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সহ-সভাপতি মো: সিরাজ মিয়া, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক মুহম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/জেবি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা মহানগর বিএনপির নানা কর্মসূচি পালন

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফিরোজায় দোয়া মাহফিল

আজিজদের কাহিনি ঢাকতে প্রধানমন্ত্রী অশালীন কথা বলছেন: রিজভী

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পেশাজীবীদের শ্রদ্ধা নিবেদন

বিএনপি নেতা আবু আশফাক কারামুক্ত

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জিয়ার আদর্শে সংগ্রাম করতে হবে: জাগপা সভাপতি

শুধু ভাষণে নয়, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়েছে: গয়েশ্বর

সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছে: রিজভী 

সরকারের লক্ষ্য দেশকে পরনির্ভরশীল ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা: ফখরুল

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :