গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে: হাইকোর্টকে দুদক
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গাজীপুরের স্থানীয় এক বাসিন্দার পক্ষে অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।
সমালোচনার মধ্যে একই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গত জানুয়ারিতে তাকে ক্ষমা করেছে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে টেন্ডারবাজি, অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ করার পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে একই বছরের ২৫ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দুদক মেয়র জাহাঙ্গীরের সময়ে তার বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার কথা জানায় দুদক। একই দিন অভিযোগের বিষয়ে দুদক গঠিত অনুসন্ধান টিম গাজীপুরের নগর ভবন, ব্যাংক ও পোশাক কারখানাসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে অনুসন্ধানও শুরু করে।
(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/ডিএম)