গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী নারী গ্রেপ্তার
রাজধানীর শান্তিবাগে নাদিয়া খাতুন নামে নয় বছরের এক গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে মৌ নামে এক নারীর বাসায় কাজ করতো। মৌ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। তবে তিনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন, তা মঙ্গলবার সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
রবিবার মৃত্যু হয় শিশুটির। এরপর মরদেহ একটি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ নারী সাংবাদিক মৌকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার শাহজাহানপুর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) তমা ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত নাদিয়ার বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ মৌকে গ্রেপ্তার করেছে।’
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় নাদিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়দের ভাষ্য, অভিযুক্ত মৌ সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে উঠেছিল।
বাড়িওয়ালার ভাষ্য, সাংবাদিক পরিচয়ে থাকতেন মৌ। এলাকাবাসী ও বাসার কেয়ার টেকারের অভিযোগ, সাংবাদিকতার পরিচয় ভাঙিয়ে এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন তিনি।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোমবার রাতে মৌয়ের বিরুদ্ধে বাসার গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ এনে শাহজাহানপুর থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ মগবাজারে একটি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি থেকে নাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নাদিয়া ও নাজমা নামে দুই বোন মৌয়ের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল। গত রবিবার নাদিয়ার মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ লাশবাহী ফ্রিজে রাখা হয়। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
নাদিয়ার বাবা নাজিমুদ্দিন জানান, মেয়ে অসুস্থ বলে তাকে ঢাকা আসতে বলেন মৌ। শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
(ঢাকাটাইমস/২৮ ফেব্রুয়ারি/এএ/এফএ)