অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই অব্যাহতভাবে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে এবং দিয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতা নিয়ে প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে ওই বৈঠক করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে আসেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে তার কাছে প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিষয়ে কিছু ভূল তথ্য ছড়িয়ে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে তা নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, এটা নিয়ে যেন আর কোনো ভুল তথ্যের উদ্ভব না হয়।’
রাষ্ট্রদূতরা গাড়িতে পতাকা তুলতে পারবে না—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো নির্দেশনা নেই বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বক্তব্যের মূল্যায়ন করার সক্ষমতা আমার নেই।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, সৌদি আরব, রাশিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তবে আইএমওর মহাসচিব পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ হওয়ার কারণে চীন ও তুরস্ককে এই ব্রিফিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ আইএমওর মহাসচিব পদে প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে সরকার মঈন আহমদকে চূড়ান্ত করেছে। তিনি এখন আন্তর্জাতিক মোবাইল স্যাটেলাইট অর্গানাইজেশনের (আইএমএসও) মহাপরিচালক। কর্মসূত্রে বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন।
আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থী মঈন আহমদ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি প্রার্থী হিসেবে ভালো। তিনি একজন পেশাদার লোক। আমরা নির্বাচনে ভালো ফলাফলে আশাবাদী।’
উল্লেখ্য, মঈন আহমদ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন। পরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক (কারিগরি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত স্যাটেলাইটগুলোর যোগাযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএমও কাজ করে।
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এমএইচ/ডিএম)