নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ অজান্তেই নষ্ট করে দেহের প্রধান প্রধান অঙ্গ! প্রাণ বাঁচাতে যা করবেন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২১ মে ২০২৩, ১০:১০| আপডেট : ২১ মে ২০২৩, ১১:৪২
অ- অ+

হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো এমন একটি রোগ যা কোনো ব্যক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে রাখে। এরকম হলে বাড়তি লবণ খাওয়ার ব্যাপারে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়। অনেকে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে খাবারের তালিকা থেকে লবণ ছেটেও ফেলেন। কিন্তু তখন অন্য সমস্যা বাড়ে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, আজকাল আইসিইউতে থাকা রোগীদের অনেকেরই অসুস্থতার প্রধান কারণ হাইপোন্যাট্রিমিয়া। অর্থাৎ শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ ভীষণভাবে কমে গিয়ে সল্ট বা লবণের পরিমাণের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আবার গরমের দেশে লবণ একেবারে খাওয়া বন্ধ করলে এই সমস্যায় ঝুঁকি বাড়ে।

উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে যা জানতেই হবে

হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ এমনই এক নীরব ঘাতক, যা কোনো লক্ষণ ছাড়াই একে একে বিকল করে দিতে পারে আপনার হার্ট, ব্রেন, কিডনি, চোখসহ শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। তাই কোনো শারীরিক অসুবিধা না থাকলেও বছরে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় ব্লাড প্রেশার মেপে নেয়া দরকার।

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের শিকার। কিন্তু কারও কারও বেলায় দেখা যায়, সেটা তারা জানেনই না। এক্ষেত্রে সমস্যা আরও জটিল হয়।

কী কী সমস্যা দেখলে সাবধান হবেন

রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাথা, ঘাড় ব্যথা, মাথা ঘোরা, মেজাজ হারিয়ে ফেলার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। শরীর বেশ দুর্বলও লাগে। সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসের কষ্ট এবং বুক ধড়ফড় করে। আবার আপনা থেকে তা ঠিকও হয়ে যায়।

বেশিরভাগ মানুষই এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। লাগাতার এই ভাবে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নিয়ে জীবনযাপন করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ একে একে বিকল হতে শুরু করে।

আচমকা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, অর্থাৎ স্ট্রোকের জন্যও দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। এছাড়া লাগাতার হাই ব্লাড প্রেশারের কারণে কিডনি বিকল ও চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ বশে রাখার উপায়

১। বাড়িতে থাকলেও নিয়ম করে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা ঘাম ঝরানো হাঁটাচলা আর ব্রিদিং এক্সারসাইজ (নিঃশ্বাসের ব্যায়াম) করতে হবে। গোসল-খাওয়ার মতোই এক্সারসাইজকে জীবনের অংশ করে নিলে সুস্থ থাকবেন।

২। সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। আবার সোডিয়ামের অভাবেও আচমকা স্ট্রোক হতে পারে। প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। চানাচুর, চিপস জাতীয় প্রিজারভেটিভ দেয়া খাবারে লবণ বেশি থাকে। তাই এসব যত পারেন কম খান।

৩। পাকা কলা, কমলালেবু, বিনস, মসুর ডাল, পালং শাক, রাঙা আলু ইত্যাদিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। নিয়মিত এসব খেলে প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে ওষুধ খেতে ভুললে চলবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ খাবেন।

৪। প্রতিদিন অন্তত দুই মগ গরম পানি পান করার চেষ্টা করুন। কারণ, গরম পানি উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি কমায় মাত্র কয়েক দিনেই। তবে অতিরিক্ত গরম পানি খেতে গিয়ে বিপদ বাড়াবেন না, গরমটা সহনীয় পর্যায়ে রেখে পানি পান করুন।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আবারো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক
শিগগিরই গুম প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করা হবে: আসিফ নজরুল
ডেঙ্গুতে আরও ৩৯৪ জন হাসপাতালে, একদিনে সর্বোচ্চ
‘উপদেষ্টা নয়, অপপ্রচারক’: আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবিতে মুরাদনগরে বিক্ষোভ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা