ফের মেঘনার ভাঙনের শিকার সরাইলের পানিশ্বর

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
| আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ১৬:৪৯ | প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০২৩, ১৫:৫৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বাজার, চাতালকলের বাড়িঘর মেঘনার করাল গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ।

স্থানীয়রা জানান, পানিশ্বর বাজার সংলগ্ন চাতালকলসহ ৫-৬ বছরে বিলীন হয়েছে ২২টি চাতালকল, শতাধিক ঘর-বাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পানিশ্বরের দক্ষিণের কালাসুতা হতে দেওবাড়িয়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অংশে ৫টি গ্রামের বসত-বাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

কুমারপাড়া, লায়েরহাটি, এলাইবক্সের বাড়ি, সাহাইতি বাজার, দেওবাড়িয়া, নতুনহাটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে মেঘনা এখন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। ভাঙেনের আশঙ্কায় এলাকার লোকজন আতঙ্কিত। এই অবস্থায় প্রতিবছর ভাঙছে তীরবর্তী এলাকা। কখনো হঠাৎ করে ভাঙেনের শিকার হয়ে বিলীন হয়ে যায় ঘরবসতি।

স্থানীয়রা জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এই জনপদ। সরেজমিনে রবিবার সকালে ভাঙন কবলিত মেঘনার পাড়ে গেলে লায়ের হাটি ওসমান চৌধুরীর বাড়ি সংলগ্ন তীরবর্তী এলাকা নতুন করে ভাঙ্গনের চিত্র চোখে পড়ে।

সেখানকার বাসিন্দা শরীফ হোসেন, ওসমান চৌধুরী জানিয়েছেন ২-৩ দিন ধরে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ না করা হলে বাড়ি-ঘর মেঘনায় বিলীন হয়ে যাবে। এর আগে এই পাড়ার ৪টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে।

পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাদু মিয়া বলেন, আগে মেঘনার এমন ভয়াবহ রূপ ছিল না। পাঁচ-ছয় বছর ধরে ভাঙনের শিকার হয়ে ঘর-বাড়ি বিলীন হচ্ছে।

পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মিস্টার জানান, নদীর মাঝখানে চর জেগে উঠার কারণে পানির স্রোতের প্রবাহ পানিশ্বর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে পানিশ্বর এলাকার এই ভয়াবহ ভাঙন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, এই মূহূর্তে আমাদের কোনও বরাদ্দ নেই তবু বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

আরও পড়ুন: ধর্মপাশায় ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার

সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ বলেন, নতুন করে ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে শিগগির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করবো। সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবো।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :