বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

জন্মনিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ফেনী সদর, পিছিয়ে ছাগলনাইয়া

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, ১৩:০০ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২৩, ১২:৩১

ফেনী জেলায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ৭৬ দশমিক ১১ শতাংশ হার নিয়ে জেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণে এগিয়ে রয়েছে ফেনী সদর উপজেলা। সর্বনিম্ন ছাগলনাইয়া উপজেলায় এ সংখ্যা ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে পরশুরামে ৭৬ দশমিক ১ শতাংশ, সোনাগাজীতে ৭৫ দশমিক ২৩ শতাংশ, ফুলগাজীতে ৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং দাগনভূঞাতে ৭০ দশমিক ৩৫ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।

পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে ফেনী অগ্রগামী। জনসংখ্যা অনুপাতে ফেনীতে এ পদ্ধতি গ্রহণের হার ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির হার এখানে ৬০ শতাংশ।

মঙ্গলবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি : নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’।

ফেনী জেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী ফেনীতে বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ জন। জন্মহার অনুযায়ী ফেনীতে প্রতিবছর ৩৪ হাজার ৭৯৯ জন শিশু জন্মগ্রহণ করে। ফেনীর মৃত্যুহার অনুযায়ী প্রতিবছর ৭ হাজার ৬০২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় মোট সক্ষম দম্পতির সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৮৫১ জন, খাওয়ার বড়ি নিয়েছে ৯৪ হাজার ৩৪ জন, কনডম নিয়েছে ২৩ হাজার ৬০৪ জন।

জুন মাস পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৯ জন নারী-পুরুষ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে পরশুরামে ১৬ হাজার ১৮১ জন, ছাগলনাইয়াতে ২৪ হাজার ৯৩৩ জন, ফেনী সদরে ৭২ হাজার ৯৪২ জন, দাগনভূঞাতে ৩৯ হাজার ৮৭০ জন, সোনাগাজীতে ৪২ হাজার ১২৫ জন, ফুলগাজীতে ১৯ হাজার ৪৪৮ জন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন ১৬ হাজার ৯৫ জন। এরমধ্যে পরশুরামে ১ হাজার ৫৭০ জন, ছাগলনাইয়াতে ২ হাজার ১২৪ জন, ফেনী সদরে ৫ হাজার ১৮৭ জন, সোনাগাজীতে ২ হাজার ৬০৯ জন, দাগনভূঞাতে ২ হাজার ৯৯৬ জন এবং ফুলগাজীতে ১ হাজার ৬০৯ জন।

সূত্রে জানা যায়, ছাগলনাইয়া প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। বেশিরভাগ পুরুষ দেশের বাইরে থাকে। যার ফলে জন্মনিয়ন্ত্রণ হার সে এলাকায় কম। এছাড়া এখানে অল্প বয়সী নারীদের বিয়ে হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। যার ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুহার বাড়ছে। এসব কারণে অন্য উপজেলার তুলনায় ছাগলনাইয়া কিছুটা পিছিয়ে। উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়ন ছাড়া অন্য ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম সীমিত। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকট।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ফেনীর উপ পরিচালক আবু সালেহ ফোরকান উদ্দীন বলেন, ফেনীর সকল ইউনিয়নে নিরাপদ প্রসব সেবা ও কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে ৫০০ এর বেশি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফরিদপুরে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা-পানি বিতরণ জেলা প্রশাসনের

এক জমি পরিষ্কারের আগুনে পুড়ল আরও ২৫ বিঘার ভুট্টা

জানাজায় গিয়ে আইফোন হারালেন ধর্মমন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচন: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রতিপক্ষের কর্মীকে পিটিয়ে জখম করলেন চেয়ারম্যান

ইসলামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন আ. লীগের সালাম

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের নামে সাইবার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন 

চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

তীব্র গরমে ধান কাটতে গিয়ে কৃষকের মৃত্যু

শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‌্যাব কর্মকর্তা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :