গৃহবধূকে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতন, কেটে নিল মাথার চুল

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩, ১৬:০১ | প্রকাশিত : ২২ জুলাই ২০২৩, ১৫:৪৭

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে নিয়েছে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ। গৃহবধূর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মারধরের পর ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলার মাঝিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় ৬ বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলা পুরনাপৈল ইউনিয়নের শাল গ্রামের মো. মুমিন হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই ছেলে সন্তান আছে। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব নির্যাতন সহ্য করে নেন ওই গৃহবধূ। এতেও খান্ত হননি স্বামী জাহাঙ্গীরসহ তার পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্বামী জাহাঙ্গীর, শাশুড়ি জায়েদা বেগম ও ননদ মুর্শিদা বাড়ির দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মারপিট নির্যাতন করতে থাকে। পরে মাথার চুল কেটে নেয়।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, এতদিন শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার শশুর বাড়ির লোকজনের সব নির্যাতন সহ্য করেছি। ভেবেছিলাম একদিন হয়ত আমার স্বামী ভালো হবে। কিন্তু শুক্রবার রাতে আবারও আমার স্বামীসহ আমার শশুর বাড়ির লোকজন আমার গলায় দড়িয়ে পেঁচিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। এতেও খান্ত হয়নি তারা। ব্লেড দিয়ে আমার মাথার চুলও কেটে নেয়।

পরে আমার শশুর এসে আমাকে বাঁচায়। আজকে আবার আমার দুই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে রাখতে এলে আমার মা বাবাসহ প্রতিবেশীরা আমার এই অবস্থা দেখে তাকে আটকে রাখে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

ভুক্তভোগীর মা জরিনা বেগম বলেন, মেয়ের সুখের কথা ভেবে তাদের সবকিছুই দিয়েছি। কিন্তু বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই আমার মেয়েটাকে নির্যাতন করতেই থাকে। আমার মেয়েকে নির্যাতন ও মাথার চুল কাটার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বাস ট্রাজেডি: বাসটিতে ছিল অতিরিক্ত যাত্রী, যাচ্ছিল দ্রুতগতিতে

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারে পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :