শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে আদর্শ জাতি গঠন করা সম্ভব নয়: কুরবান আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২৩, ১৯:২৯

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম কুরবান আলী বলেছেন, শিক্ষক জাতির আলোকবর্তিকা ও ভবিষ্যত মানবজাতির রুপকার হলেও বাংলাদেশে শিক্ষকেরা অবহেলিত ও বঞ্চিত। শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে আদর্শ জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে দু'টি শিক্ষাধারা বেসরকারি শিক্ষা হিসেবে চালু আছে। একদিকে সাধারণ শিক্ষা তথা স্কুল-কলেজ অপরদিকে আলিয়াসহ মাদরাসা শিক্ষা।

তিনি বলেন, উভয় শিক্ষা আজও উপেক্ষিত। অতীতে সকল সরকারের নিকটই শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীরা দাবী করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আন্দোলন চলছে। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়াটাই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, দাবি মানা তো দূরের কথা উল্টো তাদেরকে হামলা করে আহত করা হয়েছে। আবার যারা সরাসরি মাঠে আন্দোলন করছে এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলছে তাদেরকেও নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

রবিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যােগে চলমান শিক্ষক আন্দোলনকে সমর্থন ও এমপিওভুক্ত বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ.বি.এম ফজলুল করীম। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নূরুন্নবী মানিক, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মনজুরুল হক, বাংলাদেশ ইবতেদায়ী শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সবুর মাতুব্বর, অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ নাজির আহমদ, অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের উপর হামলা ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বীকৃতি ও উন্নয়ন ছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ও এর অন্তর্ভুক্ত ৯ টি শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত দাবি করা হয়-

১. সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর এবং সতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু করতে হবে । ২. সকল বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করতে হবে । ৩. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ সকল বেসরকারি শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. সকল ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৫. জাতীয়করণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ১০০% বোনাস ও সম্মানজনক বাড়ী ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :