মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৩৬ | প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে মারধর করে নগদ সোয়া লাখ টাকা ও মোবাইল লুটের অভিযোগে তিনজনের নামের একটি মামলা করেছেন মো. রাকিব নামের এক ভুক্তভোগী। রবিবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মামলটি নথিভুক্ত করে।

মামলায় সুমন, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সুমন নামের তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সুমন ও শফিকুল ইসলাম শামীম। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার মামলা নম্বর-৭৪। ধারা ৩৪২, ৩২৩,৩৮৫ এবং ৩৮৬ দণ্ডবিধি। মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ সরকারকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

সোমবার বিকালে মামলার বাদী মো. রাকিব ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুর রশিদ সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, ভুক্তভোগী রাকিব মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ২ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় বাসায় ভাড়া থাকেন। ৯ আগস্ট বুধবার তার বড় ভাই মো. শহিদুল ইসলাম এবং আত্মীয় শাহিন তার বাসায় বেড়াতে আসেন। ওইদিন দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাকিবের পূর্ব পরিচিত সুমন, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সুমন তার বাসায় এসে দরজা নক করেন। তখন তিনি দরজা খুলে তাদের দেখে বাসায় কারণ জানতে চান। কিন্তু সুমন, শামীম এবং সুমন তার কথার কোনো জবাব না দিয়ে বাসায় ঢুকে যান আর ভয় ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এসময় ওই তিনজন রাকিবকে বলেন, তারা ইয়াবার ব্যবসা করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী তাদের বলেন, আমরা কোনো প্রকার মাদক ব্যবসা করি না। পরে ওই তিনজন বাসার সবাইকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে মামলার আসামিরা ভুক্তভোগীর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা চান। আর চাঁদা না দিলে তাদের মাদক মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এজাহারে রাকিব আরও বলেন, কোনো প্রকার চাঁদা দিতে পারব না বললে মামলার তিন আসামি বাসায় থাকা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আমাদের জখম করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দেয়। পরে তখন আমি নিরুপায় হয়ে বাসায় থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং গ্রামের বাড়িতে ফোন করে বিকাশের দোকান থেকে চারবারে মোট এক লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে এনে আসামিদের হাতে দিই। ওই টাকা নেওয়ার পর আসামিদের চাওয়া দুই লাখ টাকা পুরোপুরি দিতে না পারায় তারা আমার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে তাদের সবার স্বাক্ষর নেয়। আর ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেয়।

রাকিব আরও বলেন, ওই সময়ে সুমন আমার ব্যবহৃত একটি হুওয়ায়ে মোবাইল ফোন ও শফিকুল ইসলাম শামীম ওরফে বাবু আমার বড় ভাইয়ের একটি ভিভো মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :