বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা বিশ্বে মানবিক নেত্রী হিসেবে পরিচিত: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৭

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাঙালির কাছে নয়, বিশ্বে একজন মানবিক নেত্রী হিসেবে পরিচিত।

তিনি বলেন, মানবিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই মানবিক দেশকে কোন সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার কাছে সপে দিতে পারি না। বরং এই মানবিক বাংলাদেশ ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের।

শনিবার দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভুলে গেলে চলবে না আমাদের পূর্বপুরুষেরা জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করে গেছেন। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন রক্ত দিয়ে হলেও দেশের মানুষের ঋণ পরিশোধ করে যাব। কী শ্রদ্ধাবোধ ছিল মানুষের প্রতি। এই শ্রদ্ধা কী আমরা দেখাতে পেরেছি? তিনি শুধু নন পুরো পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। তাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।"

তিনি বলেন, আমরা যদি মানবতায় বিশ্বাস করে থাকি তাহলে বলবো মানবতা আছে এবং থাকবে। এই ভাবধারার ওপরে দাঁড়িয়ে আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, বাংলার মানুষের অধিকার চাই। তিনি কিন্তু বলেন নাই হিন্দু মসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টানের অধিকার চাই। এভাবেই একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সব ধর্ম বর্ণের মানুষ অধিকার নিশ্চিত করে মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ত্রিশ লাখ শহীদ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারার মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।

সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব ধর্মের মানুষ এক না হলে কখনো মানবতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আমার আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোওয়ার হোসেন মহানবি হযরত মুহম্মদ সা. এঁর মানবতার কথা বলে গেছেন। অর্থাৎ মহানবি সা. শুধু ইসলামের ছিলেন না। তিনি ছিলেন মানবতাবাদী নবি। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ কত বড় মানুষ হলে তাঁর একজন শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ হতে পারে। এই স্বামী বিবেকানন্দ কী সুনির্দিষ্ট ধর্মের কথা বলেছেন? না, তিনি মানবতার কথা বলেছেন। তিনি সব মতকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন "যত মত তত পথ"।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যত বাংলাদেশের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরে শেখ হাসিনা শুধু বাঙালির কাছে নয় সমগ্র বিশ্বে একজন মানবিক নেত্রী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। শুক্রবার শেখ হাসিনা ভারত পৌঁছতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভার‍তের এই সম্মান আমাদের দেশের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য পরম একটা প্রাপ্তি।

তিনি বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার আগে এখানে ঘুরে গেলেন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি আসতেছেন। তিনি আমাদের নৌকায় উঠবেন হাঁটবেন। ধানমন্ডি লেকে ঘুরবেন। আমাদের বাতিঘর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলার যে গান সেই গান শোনা এবং তাদের সাথে কথা বলবেন। এই যে বাংলাকে জানার আগ্রহ ফ্রান্সের মতো একটি দেশের প্রেসিডেন্টের। আমাদের প্রাপ্তি হচ্ছে এটাই। বাংলাদেশ আজ গোটা দুনিয়ায় একটা জায়গা করে নিয়েছেন। এটা কেন? কারণ একটা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সন্ততানন্দ মহারাজ, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ কুমার বকশী। অনষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতের আলমোড়ার রামকৃষ্ণ কুটিরের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন নারায়নগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ।

ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/জেএ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :