নগদ-রকমারি বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৮ লেখক ও ২১ বই

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:০১ | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:০৫

অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বড় বই বিপণি রকমারি ডট কম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১৮ লেখক ও ২১টি বইকে বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

‘নগদ-রকমারি বইমেলা বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানটি শনিবার আয়োজন করা হয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রকমারি থেকে সর্বোচ্চ বিক্রীত বইয়ের লেখকদের দেওয়া হয় এ পুরস্কার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়াল—সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক এবং রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন রকমারি ডট কমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আনাম রনি। বলেন, ‘এক যুগ পার করা রকমারি ডট কম আজকের এই অবস্থানে আসাটা কল্পনাতীত ছিল। বইয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সম্মান জানানোই এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। পাঠক, প্রকাশক ও লেখকদের সুবিধার জন্যই রকমারি ডট কম কাজ করে যাচ্ছে।’

রকমারি ডট কমের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জুবায়ের বিন আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আমরাই প্রথম অনলাইনে ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে বই ডেলিভারি শুরু করি। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে সকল বাংলা বই ডিজিটাল করে বিশ্বব্যাপী ৩৬ কোটি বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বই নিয়ে পিছিয়ে থাকা একটা জাতি আমরা। তবে আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় এটা, বাংলাদেশের একটা ইকমার্স কোম্পানি তাদের পণ্য হিসেবে বই নিয়ে কাজ করছে। প্রকাশকদের জন্য সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বই বিক্রি করা। সেই কাজটি সহজ করে দিয়েছে রকমারি ডট কম।’

বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেন, ‘বই পড়ার মধ্য দিয়ে মানুষের মনলোক আলোকিত হয় ও চেতনা সমৃদ্ধ হয়। আমরা যদি যার যার জায়গা থেকে কিছু করি তাহলে সবাইকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে পারবো।’

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘যারা বই পড়েন, একটা সময় তারা খুঁজে খুঁজে বই এনেছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। সেদিক থেকে বই আহরণের কাজটিকে সহজ করেছে রকমারি। অন্যান্য পণ্য আনলেও বইয়ের প্রতি তাদের যেন আলাদা নজর থাকে, তার জন্য আলাদা প্রত্যাশা থাকবে।’

আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, ‘আমার বই কেউ খোঁজ করলে আমি বলি রকমারিতে খুঁজতে।’ এছাড়া তিনি অনুষ্ঠানে মেয়ে পাঠকের সংখ্যা কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘প্রকাশকরা একসময় আমাদের নিয়ে হাসতেন তবে এখন তারা আমাদের তাদের বন্ধু মনে করে। আমরা শুরু থেকে গুটিগুটি করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাইরেও ৩০টি দেশে আমরা এখন বই পাঠাচ্ছি। আগামীতে আমরা উদ্যোক্তা প্রকাশকদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আগামীতে আমরা ই-বুক, অডিও বুক আনতে যাচ্ছি।’

লাইভ কুইজ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়, তাতে ৪০ জন দর্শককে পুরস্কৃত করা হয় এবং আয়োজনের শেষে অনুষ্ঠিত হয় র‌্যাফেল ড্র। এতে অনুষ্ঠানে আসা দর্শক ও অতিথিদের মধ্য থেকে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :