চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:২৮

চুয়াডাঙ্গায় এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ইমরান-তাসলিমা দম্পতি। চার সন্তানের মধ্যে তিনটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান। তবে জন্মের কিছুক্ষণ পরই পুত্র সন্তানটি মারা যায়।

বৃহস্পতিবার সকালে তাসলিমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ শহরের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে (নরমাল ডেলিভারি) এক পুত্র, তিন কন্যা শিশুসহ চার সন্তানের জন্ম দেন।

সফল সিজারিয়ান (অস্ত্রপচার) করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আকলিমা খাতুন।

একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় যেমন খুশি, তেমনি তাদের লালন-পালন, চিকিৎসা ব্যয় নিয়েও চিন্তায় পড়েন তাদের ব্যাটারি চালিত ভ্যানচালক (পাখিভ্যান) বাবা ইমরান হোসেন।

তিনি ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জের বাসিন্দা হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুরে বসবাস করেন।

স্বাভাবিকভাবে চার সন্তান প্রসব করা মা তাসলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, চার সন্তানের জন্ম হলেও ছেলে সন্তানটি মারা গেছে। তবে তিন কন্যাসন্তান আমার তত্ত্বাবধানে আছে। তারা কিছুটা অপুষ্ট। অক্সিজেন চলছে। তাদের মায়ের শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো।

তিনি আরও বলেন, এর আগে যমজ শিশু দেখেছি। একসঙ্গে চার শিশুর জন্মগ্রহণ খুব কম হয়। তবে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম, স্বাভাবিকভাবে হয়, আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম। এর আগেও চার সন্তানের জন্ম দেখেছি, তবে সেটা সিজারিয়ানের মাধ্যমে।

এদিকে, একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেওয়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবজাতকদের দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া। তিনি কন্যা তিনটির নাম রাখেন- পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা।

এসময় তিনি ইমরান-তাসলিমা দম্পতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও আর্থিক সহায়তা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, এক সঙ্গে চার শিশুর জন্মের খবর পেয়ে আমরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে এসেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা নবজাতকদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এসময় শিশুদের পরিবারের অনুরোধে তাদের যথাক্রমে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নামকরণ করা হয়।

ইউএনও আরও বলেন, চার নবজাতকের মধ্যে ছেলেটি সন্তানটি জন্মের কিছুক্ষণ পরই মারা গেছে বলে জানলাম। তবে তিন কন্যা যেন সুস্থ থাকে সেই জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। এছাড়া আমরা তাদের পাশে আছি। যে কোনো প্রকার সহায়তা লাগলে আমরা দেবো।

পাখিভ্যান চালক বাবা ইমরান বলেন, ‘আমি পাখিভ্যান চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই। আমাদের আরও একটি পুত্র সন্তান আছে। আজ চার সন্তান জন্ম নেয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এরমধ্যে ছেলে সন্তানটি মারা গেছে। তবে আমার তিন কন্যা সন্তান বেঁচে আছে। কন্যাদের মুখ দেখে আমার বুক ভরে গেছে। ইউএনও স্যার আর ভাইস চেয়ারম্যান আমাকে সাহায্য করছে, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

(ঢাকা টাইমস/২৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :