মালয়েশিয়ায় নিহত ছেলে সাইফুলকে শেষবার দেখতে চান বাবা-মা

মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে নিহত কুমিল্লার দেবিদ্বারের সাইফুলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আদরের ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে আকাশ-বাতাস। সরকারের কাছে তাদের একটাই চাওয়া, লাশটা যেন দ্রুত দেশে আসে। জীবিত সন্তানকে না পেলেও মরদেহটা নিজেদের কাছে এনে দাফন করতে চায় স্বজনহারা মানুষগুলো।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে অপর দুই সহকর্মীর সঙ্গে মারা যান উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের লক্ষীপুর দক্ষিণ পাড়ার রোশন ভান্ডারীর ছোট ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় বেশ কজন আহত হন এবং চারজন ভবনের নিচে আটকা পড়েন।

বুধবার সকালে সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকাবহ চিত্র, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে আছে বাড়িটি। আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে অঝোরে বিলাপ করছেন মা আর স্বজল চোখে তাকে শান্তনা দেবার চেষ্টা করছেন ক্যান্সার আক্রান্ত বাবা।

সাইফুলের বাবা রোশন ভান্ডারী জানান- তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছেন অনেকদিন যাবৎ। সোমবারও তার থেরাপির জন্য ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে সাইফুল, বুধবার আরও টাকা পাঠাবে জানিয়েছিল সে। এবার দেশে আসলেই বিয়ে করার কথা ছিল সাইফুলের।

এ বিষয়ে ফতেহাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, সাইফুলের সহকর্মীরা তার মরদেহ দেশে পাঠাবার চেষ্টা করছে বলে জেনেছি, আমিও যোগাযোগ রাখছি। মরদেহ আনার জন্য সরকার সংশ্লিষ্টদের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। আশা রাখছি স্বজনরা দ্রুত মরদেহ পাবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯ নভেম্বর/ইএইচ)