ফেনীতে ঘন কুয়াশায় বিপাকে ছিন্নমূল মানুষ
ফেনীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে জনপদ। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। সোমবার সকালে ফেনী আবহাওয়া অফিস জানায়, ভোর ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
দেখা গেছে, কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। নভেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি নিলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। ভোরের আলো দেরিতে এক ঝলক দেখা দিলেও ফুরিয়ে যাচ্ছে অতি সহজেই।
সোনাগাজীর চর চান্দিয়া গ্রামের আলতাফ মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশা সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় হাড় কাপানো শীতে মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। গত দুই দিন ধরে তাপমাত্রা কমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের মোতাহের হোসেন বলেন, কয়েকদিন থেকে শীত পড়ছে তবে আজকের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তাঘাট কিছু দেখা যায় না। এ রকম ঠান্ডা ও শীত হলে বয়স্ক মানুষগুলোর খুবই সমস্যা। দেখা দেয় ঠান্ডাজনিত নানা রোগ।ফেনীস্থ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বেলুন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা জানান, ফেনীতে সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
(ঢাকা টাইমস/১১ডিসেম্বর/এসএ)