রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্বলিত করার পর সকাল ৭টায় সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয় বধ্যভূমির গেট।
এর আগে থেকেই নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ নানা বয়সের, নানা পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বধ্যভূমির গেটের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্কুল কলেজের পোশাক পরে মিছিল নিয়ে আসছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের হাতে ছিল ফুলের তোড়াসহ ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ফুল দিতে এসেছেন নানা পেশার মানুষ।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বিভিন্ন ছবি দিয়ে বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে আলোকচিত্র প্রদর্শনীও করা হয়েছে।
শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আলামিন হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে রাতে মোমবাতি নিয়ে এসেছিলাম। এখন আবার সকালে এসেছি ফুল দিতে।
আদাবর থানা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রোকশানা ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা আদাবর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকেই আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে আর টিকে থাকতে না পেরে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানি আল-বদর বাহিনী এদেশের মেধা শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তারা এ দেশের বুদ্ধিজীবীদেরকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মধ্যে নির্মম নির্যাতন করে। পরে তাদের হত্যা করে রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে ফেলে রাখা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৪ ডিসেম্বর/এইচএম/এসএম)