খাগড়াছড়িতে নির্বাচনি প্রচারে শুধুই আওয়ামী লীগ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ২৯৮ নম্বর সংসদীয় আসনে নির্বাচনি প্রচারণায় কোনো উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচার ক্যাম্পেও লোকসমাগম কম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তাছাড়া পাবর্ত্য এলাকার আঞ্চলিক দলগুলোর কোনো প্রার্থীও মাঠে নেই। তাই খাগড়াছড়িতে এখনো জমে ওঠেনি নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। প্রতীক বরাদ্দের পর গত সোমবার থেকে প্রচারণা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি প্রার্থী ও তাদের অনুসারীদের তৎপরতা দেখা যায়নি। জেলার সর্বত্র সাঁটানো ব্যানার-পোস্টারের প্রায় সবই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর।
সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের বাইরে জেলায় শক্ত অবস্থান রয়েছে বিএনপি এবং আঞ্চলিক দলগুলোর। এসব দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন তারা। ভোটারদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় তাদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে বলেও অভিমত অনেক ভোটারের।
রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়িতে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির মিথিলা রোয়াজা, তৃণমূল বিএনপির উশ্যেপ্রু মারমা ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মোস্তফা। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ২৯৮ নম্বর সংসদীয় আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৬ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯৬টি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, এটা স্থানীয় নির্বাচন নয়। বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, আঞ্চলিক দলগুলোর প্রার্থী থাকলে নির্বাচন কিছুটা জমতো। এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ ভোটার কেন্দ্রে যাবে কি না, সন্দেহ রয়েই যায়।
খাগড়াছড়িতে চারজন প্রার্থী থাকলেও প্রচারণা শুরু করেছেন কেবল বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। জেলার মহালছড়ি উপজেলায় জনসভার মধ্য দিয়ে তিনি প্রচারণা শুরু করেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনি প্রচারণা চালানো হলেও নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস তেমন চোখে পড়েনি।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/ইএইচ)