যে কারণে এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন করবেন না জায়েদ খান

আগামী ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। বাকি আর দুই মাস। প্রস্তুত দুই প্যানেল। একটি ডিপজলের, অন্যটি নিপুণ আক্তারের। কিন্তু কোনো প্যানেলের সঙ্গেই নেই সমিতির দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এবার তিনি নির্বাচন করবেন না।
কিন্তু কেন? শোনা যাচ্ছে, যাদের সঙ্গে এই নায়ক এতদিন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে এসেছেন, তাদের কারোই জায়েদ খানকে প্রার্থী করার ব্যাপারে আগ্রহ নেই। কয়েক দিন আগে মিশা সওদাগর তো সাফ বলেই দিয়েছেন, তিনি আর জায়েদ খানের সঙ্গে নির্বাচন করবেন না।
তবে জায়েদ খান বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি, নির্বাচনের কারণে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া তার অভিভাবকরাও চাইছেন না অভিনেতা নির্বাচনে আসুক। সে কারণে এবার তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জায়েদ খানের ভাষায়, ‘এর আগে নির্বাচনে অনেক সময় দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। এর মধ্যে মা-বাবাকে হারিয়েছি। এখন আমার অভিভাবক বোন। তিনিসহ পরিবারের কেউই চাইছেন না নির্বাচনে যাই। সে কারণে এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছি না।’
এ পর্যন্ত তিন মেয়াদে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেছেন জায়েদ খান। এর মধ্যে ২০১৭-১৯ এবং ২০১৯-২২ মেয়াদের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ সামলেছেন। দুই মেয়াদেই তার কমিটির সভাপতি ছিলেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর।
কিন্তু ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে মিশাকে হারিয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। ওই নির্বাচনে ভোটে জিতেও তৃতীয়বারের মতো সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়া হয়নি জায়েদ খানের। তার বিরুদ্ধে বিপক্ষ প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার টাকা দিয়ে ভোট কেনার লিখিত অভিযোগ করেন।
সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বাতিল হয় জায়েদ খানের প্রার্থিতা। একইসঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয় নিপুণ আক্তারকে। এবারও এই নায়িকা একই পদে থেকে একটি প্যানেল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছেন না জায়েদ খান।
(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন