ভারতীয় পণ্য বর্জন জনগণের ঘৃণা ও বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ: ১২ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:২০ | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫১

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ফলে ভারতের বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনগণের ঘৃণা বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসেবে ভারতীয় পণ্য বর্জন প্রচারণা চলছে।

শনিবার কুমিল্লা মহানগরীর কান্দিরপাড় তৎসংলগ্ন এলাকায়ভারতীয় পণ্য বর্জন আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ানশীর্ষক প্রচারপত্র বিতরণকালে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব বলেন।

নেতারা বলেন, গুম, খুন প্রতিবেশী দেশের নীল নকশায় ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবরদখলকারী আওয়ামী লীগ সরকার আওয়ামী অলিগার্ক তন্ত্র কায়েম করেছে। দেশের সাধারণ মানুষের পকেট কেটে সরকারি দলের লোকজন রাশান অলিগার্কদের মত বিত্ত বৈভবের মালিক হচ্ছেন। তাদের লুটেরা সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বাড়ছে। আর সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা মার্কেটের দোকানদার, পথচারী সাধারণ মানুষের হাতে প্রচারপত্র তুলে দেন। প্রচারপত্রে বলা হয়- আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ভোট চুরির মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে আসছে। তারা লুটপাট করতেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে না বলুন। একইসঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।

নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম সিন্ডিকেট আর লুটপাট। কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইফতার ভাঙার কর্মসূচিতে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই তারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে এবং আলেম উলামাদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন শুরু করে।

আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে কখনো ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয়। দেশবাসী ভোট-পার্লামেন্ট হারিয়েছে, গণতন্ত্র আইনের শাসন হারিয়েছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা নিজেদের সংস্কৃতি মূল্যবোধও হারাতে বসেছে।

এমতাবস্থায় দেশ জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। একইসঙ্গে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সহ নিত্যপণ্যের বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান ১২ দলের শীর্ষ নেতারা।

প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ আবু হানিফ, বাংলাদেশ এলডিপির সহ-সভাপতি চাষী এনামুল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ,লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সদস্য জনাব আব্দুল্লাহ মজুমদার, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি হাবিবুল্লাহসহ জোট নেতৃবৃন্দ।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/জেবি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :