পায়রা বন্দরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, তদন্ত শুরু

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

পায়রা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন অস্থায়ী ভিত্তিতে রাজস্বখাতে সৃজনকৃত ১৪ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-২) শেখ মো. শরীফ উদ্দিন, স্বাক্ষরিত বন্দর চেয়ারম্যানকে দেয়া এক নোটিশে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা যায়, বন্দর কর্তৃপক্ষের অস্থায়ী ভিত্তিতে রাজস্বখাতে সৃজনকৃত ১৪ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম হয়েছে। উপর্যুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নাম ও পদবিসহ এতদসংক্রান্ত কাগজ পত্রাদির সত্যায়িত অনুলিপি দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি প্রসঙ্গে দুদক, মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ প্রেরণ করেছে ভুক্তভোগীরা। যাতে বলা হয় বন্দর কর্তৃপক্ষের সৃজনকৃত ১৪ শূন্যপদের এ নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম করেছে নিয়োগ সিন্ডিকেট। বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (সংস্থাপন ও নিয়োগ) ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব তায়েবুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের অধ্যাপক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এ সিন্ডিকেট। তায়েবুর রহমান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থী বাছাই করে হেলাল উদ্দিনের কাছে পাঠান। আর হেলাল উদ্দিন পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব হওয়ায় বাছাই তালিকার পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নম্বর দিয়ে থাকেন। এমনকি ভুল হলে খাতায় লিখে দেওয়ার সুযোগ দিয়ে ১৪ পদে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

এর আগে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) নাসির উদ্দিন ও নির্বাহী প্রকৌশলী (জেটি) মোস্তফা আশিক আলীর বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকাদারি কাজ ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) নাসির উদ্দিনের আত্মীয় স্বজন ও নির্বাহী প্রকৌশলী (জেটি) মোস্তফা আসিক আলী বিএনপি জামায়াতের কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে পায়রা পোর্টের সকল ঠিকাদারি কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা করে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মহোৎসব চালাচ্ছেন। নাসির উদ্দিনের আপন বড় ভাই হাসান মাহমুদ পরিচালিত ওয়াটার বার্ডস লিমিটেড এবং এ বি কোম্পানি নামে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও তাদের একান্ত সহযোগী স্থানীয় বিএনপি ও সাবেক ছাত্রদল নেতার মালিকানাধীন মেসার্স নুরজাহান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বন্দরের সব কাজ সাব কন্ট্রাক দেন। এবং মোস্তফা আশিক আলীর ভাইপো রনি বিশ্বাস, নিজাম বিশ্বাস ও স্থানীয় রিয়াজ তালুকদার, তপন বিশ্বাস এবং তুহিন মৃধাকে দিয়ে কাজ করিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।'

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, বন্দরের ১৪ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-২) শেখ মো. শরীফ উদ্দিন এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি চেয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :