শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় পরিচালকদের তীব্র ক্ষোভ

আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সেদিন সমিতির ভোটার ছাড়া অন্যদের প্রবেশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক সমিতিসহ অন্যান্য সমিতির সদস্যরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারা বলছেন, এফডিসির বাইরে গিয়ে নির্বাচন করতে।

এ বিষয়ে উপ-মহাসচিব অপূর্ব রানা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রের যতটুকু মানসম্মান কমেছে তার জন্য ৫০% দায়ী গতবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আবারও তারা একই পথে হাটছে। ভাই, চলচ্চিত্রের মানুষ নিয়ে এত প্রবলেম হলে আপনাদের নির্বাচন নিয়ে উগান্ডা যান। যত পারেন গোপনে, আড়ালে জঙ্গলে গিয়ে নির্বাচন করেন। আপনাদের চুম্মা চাট্টির নির্বাচন আমরাও আর দেখতে চাই না।’

পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি লিখেছেন, ‘কোনো পরিচালক অ্যাকশন না বলা পর্যন্ত যে শিল্পীরা মূর্তির মতন দাঁড়িয়ে থাকে তারাই আজকে পরিচালকদের এফডিসিতে ঢুকতে নিষেধ করছে, কী চমৎকার!’ সাফির এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক ফিরোজ খান প্রিন্স। তিনি লেখেন, ‘গতবার লজ্জা পেয়েছিলাম, এ বছরও লজ্জায় পড়তে হবে তা ভাবিনি। আমাদের লিডাররা কী বলছে?’

নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাস লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বারবার কেন এত নাটক?? ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ।’

ইয়াসির আরাফাত জুয়েল লিখেছেন, ‘এইসব শিল্পীদের এফডিসি থেকে ব্যান করা উচিত। এদের মনে হয় মনে নাই গতবার যারা এই কাজ করছিল তারা আর পরে এফডিসিতে ঢুকতে পারে নাই। এদের ভবিষ্যৎ তাই হবে ভাই। যারা এফডিসিকে নিজের বাপের সম্পত্তি মনে করে তাদের বিরুদ্ধে ধিক্কার নিন্দা।’

পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘পরিচালকরা যে অভিনয়শিল্পীদের বাপ, তা মনে হয় শিল্পী সমিতি ভুলে গেছে। সময় এসেছে তাদের তা মনে করায়ে দেবার।’

পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা খিজির হায়াত খান লিখেছেন, ‘বিএফডিসির শিল্পী সমিতিকে বলছি—বিএফডিসি আপনাদের বাবার সম্পত্তি না। নিজেদের নির্বাচন করতে গিয়ে অন্য সমিতির সকলকে বিএফডিসিতে ঢুকতে না দেয়ার সাহস ও স্পর্ধা আপনারা কোথা থেকে পান? এই অন্যায় আচরণ আপনারা আগেও করেছেন। নিজেদের নির্বাচন অন্য কোথাও গিয়ে করেন যদি আপনাদের এতই চুলকানি থাকে। দিন দিন আপনাদের স্পর্ধা ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত অন্য সকল সমিতি এবং সকলকে শিল্পী সমিতির এই অন্যায় আচরণের কঠোর প্রতিবাদ জানানোর আবেদন করছি।’

পরিচালক সাজ্জাদ খান লিখেছেন, ‘বিএফডিসি কি শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি মনে করছে নাকি কেউ! এফডিসি কোনো একটা সংগঠনের জন্য না। আগের বার ঠিকঠাক প্রতিবাদ না হওয়াতে এবারও তারা এই সাহস দেখাচ্ছে। এফডিসি নির্বাচন মানে নতুন পুরাতনের মিলন মেলা। এই সুন্দর পরিবেশ যারা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারাই সিনেমার প্রধান শত্রু। কোনো রাজনৈতিক নেতার ফোন থাকলে এবার তার নাম প্রকাশ করা হোক। জাতি চিনে রাখুক কে সেই নেতা।’

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এলএম/এজে)