সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ জানাল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে সোমবার সকালে ইন্ডিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক গুলি করে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতি এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ না করে প্রতিনিয়ত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালানোর তীব্র প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের চালানো এইরকম ধারাবাহিক জুলুমের বিরুদ্ধে যথাযথ ভূমিকা না নেওয়ায় সরকারের প্রতিও ধিক্কার জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ইন্ডিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক গুলি করে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। ইন্ডিয়া কর্তৃক বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তো কমেইনি বরং বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের বাহিনী কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ক্রমেই বেড়েছে।’
ভারত বিগত ৫০ বছরে দুইদেশের সীমান্তে কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই সংখ্যা সীমান্ত ভাগাভাগি করা যেকোনো দুইটি দেশের সীমান্তের মধ্যে ঘটা হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের জনগণকে যদি সত্যিই ইন্ডিয়ান রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা ‘বন্ধু’ মনে করতেন তাহলে এই দেশের ভূখণ্ডকে ৩ দিক দিয়ে কাটাঁতার দিয়ে ঘিরে রাখতেন না। অন্যদিকে নেপাল-ভুটান তো নয়ই এমনকি ইন্ডিয়া চীন ও পাকিস্তান সীমান্তেও এইভাবে কাটাঁতার দিয়ে রাখেনি।’
আমরা এই বিবৃতির মাধ্যমে ভারত সরকারকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে তাদের প্রতিশ্রুতি আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি এবং অবিলম্বে চলমান হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্র-সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় আন্তঃরাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক পরিমন্ডলে ভূমিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সেই সঙ্গে সকলের মনে রাখা দরকার, নেপালের সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নেপালী নাগরিক হত্যার জেরে সেদেশের জনগণ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ইন্ডিয়াকে ক্ষমা চাইতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল একইভাবে বাংলাদেশের জনগণের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের এইরকম আগ্রাসন এর বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের আগ্রাসন রুখে দেই। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের এই আগ্রাসন রুখে দেওয়ার একটাই পথ, নতজানু সরকারকে হটানোর মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করে গণতান্ত্রিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র গড়ে তোলা।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এমআই)