দলীয় শতকের আগেই সাত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত

বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল। তবে বৃষ্টির বাগড়ার পর ব্যাট করতে নেমে অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। মাত্র ৯৬ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত।
দুই দলের এই মহারণে ভারতের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। প্রথম ওভারেই এই দুই ওপেনার নেন ৮ রান। তবে এরপরেই আবারও হানা দেয় বৃষ্টি, যার ফলে বন্ধ থাকে খেলা। প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয় খেলা। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে নিজেদের জুটিকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তারা।
দলীয় ১২ রানে রোহিত বিরাট কোহলি সাজঘরে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। ৩ বলে ৪ রান করা বিরাট নাসিম শাহ এর বলে উসমান কানের হাতে ক্যাচ তুলে দিযে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
বিরাট কোহলির পর সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার রোহিত শর্মাও। আগের ম্যাচে অর্ধশতক তুলে নেওয়া রোহিত আজ ১২ বলে ১৩ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে হারিস রউফের হাতে ক্রাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।এই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়েন অক্ষর প্যাটেল ও রিশভ পান্ত। এই জুটিতে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে রোহিত শর্মার দল। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান নাসিম শাহ। নাসিম শাহর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেল। আউট হওয়ার আগে করেন ১৮ বলে ২০ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি।
অক্ষর প্যাটেলের বিদায়ের পর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে জুটি গড়নে রিশভ পান্ত। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি হারিস রউফ। হারিস রউফের বলে মোহাম্মদ আমিরের হাতে ক্যাচ তুলে দিযে সাজঘরে ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব। তার বিদা্য়ে ৮৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে একে একে সাজঘরে ফিরে যান শিভাম দুবে, রিশভ পান্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা। এই তিন ব্যাটারের বিদায়ে মাত্র ৯৬ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে ভারত।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও উসমান খান। ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, রিশভ পন্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং ও মোহাম্মদ সিরাজ।

মন্তব্য করুন