পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কুবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই
হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলো হয়ে আনসার ক্যাম্প ঘুরে গোল চত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিল আনসার ক্যাম্প পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা সেখানে এক যোগে জাতীয় সংগীত গায় এবং পুলিশি হামলার শিকার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। নীরবতা পালন শেষে শিক্ষার্থীরা আনসার ক্যাম্প মোড়কে 'ছাত্র আন্দোলন চত্বর' ঘোষণা করেছে। এরপর চত্বরটিতে আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহকালে আহত দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হান ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মিলে নামফলক লাগান।
শিক্ষার্থীরা এই চত্বরের স্মৃতিস্বরূপ দুটি গাছ লাগান। তারপর সদ্য নাম দেওয়া 'ছাত্র আন্দোলন চত্বরে’ বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা সেখানে এই হামলায় জড়িতদের বিচার চান এবং সেদিনের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার পদত্যাগও দাবি করেন। কর্মসূচির শেষ দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এ ব্যাপারে আন্দোলনকারী ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘আমাদের এ আন্দোলন যৌক্তিক ছিল, আমরা বিশ্বরোডের দিকে যাচ্ছিলাম অবরোধ করতে। তখন আমাদের উপর হামলা করা হয়, লাঠিচার্জ করা হয় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। আজকে আমরা দেখিয়ে দিবো শিক্ষার্থীরা কী করতে পারে। আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করবো।’
উল্লেখ্য, গতকাল (১১ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এর জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে তিন সাংবাদিক সহ অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরবর্তীতে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১০টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা৷
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/পিএস)

মন্তব্য করুন