টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে সতর্ক থাকার উপায়

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়ছে। সংক্রামক রোগের সংক্রমণ জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হয়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষার প্রকৃতিতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন অসুখ–বিসুখ। আবহাওয়ার এই সময়টা মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার। বর্ষাকাল মানেই শরীরে ভাইরাস কিংবা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই সময় ডায়রিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড জ্বরের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে বর্ষা এলেই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণজনিত টাইফয়েড জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়।
টাইফয়েড এক ধরনের জ্বর যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে টাইফয়েড হতে পারে। যেমন- সালমোনেলো টাইফি এবং সালমোনেলো প্যারাটাইফি। দুই ধরনের জীবাণুর সংক্রমণের লক্ষণ প্রায় একই রকমের।
সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করলে যে জ্বর হয় তাকেই টাইফয়েড জ্বর বলা হয়। আর সালমোনেলা প্যারাটাইফি জীবাণুর কারণে জ্বর হলে তাকে প্যারা টাইফয়েড জ্বর বলে।
টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তস্রোতে ও অন্ত্রনালীতে এই ব্যাকটেরিয়া অবস্থান করে এবং দূষিত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিযা দেহে প্রবেশ করা জীবাণুগুলো গুণিতক আকারে বেড়ে গিয়ে রক্তস্রোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
চিকিৎসকের মতে, টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে মূলত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে। যদি কোনো খাবার ও পানির মধ্যে টাইফয়েডের জীবাণু থাকে তাহলে সেই খাবার খেলে ও পানি পান করলে খাওয়ার মধ্য দিয়ে টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় বলে 'ফিকোওরাল রুট' মানে টাইফয়েড জীবাণু দিয়ে সংক্রমিত ব্যক্তির মল দিয়ে কোনো না কোনোভাবে দূষিত পানি বা খাবার সুস্থ ব্যক্তি গ্রহণ করলে ওই ব্যক্তির টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর পায়খানা এবং প্রস্রাবের মাধ্যমেও টাইফয়েডের জীবাণু শরীর থেকে বের হয়। কোনো কারণে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা অথবা ওয়াটার স্যানেটারি সিস্টেমে ত্রুটির কারণে যদি টাইফয়েডের জীবাণু সেখানে মিশে যায় তাহলে টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়তে পারে।
টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী পায়খানা ও প্রস্রাবের পর ভালো করে হাত পরিষ্কার না করলে জীবাণু থেকে যেতে পারে। তার হাতের স্পর্শ বা খাবারের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিরাও সংক্রমিত হতে পারেন।
টাইফয়েড জ্বরের একটা নির্দিষ্ট ধরন আছে। জ্বর যখন প্রথম আসে এরপর ছেড়ে যায় না, ক্রমশ আস্তে আস্তে জ্বরের তীব্রতা বাড়তে থাকে। যত দিন যায় জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকে। ১০০ ডিগ্রি থেকে জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশিও হতে পারে। পেটে ব্যথা হয়। মাথা ব্যথা হয়। ডায়রিয়া হয়। আবার কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। দুর্বল ও ক্লান্তি লাগে।
টাইফয়েড জ্বর থেকে শারীরিক আরও কিছু জটিলতাও হতে পারে। যেমন- মস্তিস্কে প্রদাহ, নিউমোনিয়া, হেপাটাইটিস, লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টাইফয়েড জ্বর শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গকে আক্রান্ত করতে পারে।
রক্তে যখন টাইফয়েডের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর হয়। সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রথমে রোগীর রক্ত কালচার করে জীবাণুর উপস্থিতি আছে কি না এবং কোন জীবাণু সেটি দেখতে হবে।
কোনো কোনো সময় পায়খানা ও প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমেও জীবাণু শনাক্ত করা যায়। তবে এক্ষেত্রে তা দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পজিটিভ হয়। সেজন্য টাইফয়েড শনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার করে নেওয়া ভালো।
চিকিৎসা হিসেবে টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীকে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক দিলে রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশে এই অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রে টাইফয়েডের জীবাণুর অনেক রেজিস্ট্যান্স ভ্যারাইটি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো আগে কাজ করত সেই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক অনেক ক্ষেত্রে এখন টাইফয়েডের জীবাণুর বিরুদ্ধে আর কাজ করছে না।
তারপরও রোগীর ব্লাড কালচার দেখে সেই অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ৫ থেকে ৭ দিন পর জ্বর কমতে শুরু করে। রোগীর অবস্থা বুঝে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
টাইফয়েড প্রতিরোধে করণীয়
পানির মাধ্যমেই টাইফয়েড ছড়ায়। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।
টাইফয়েড প্রতিরোধে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। পায়খানা-প্রস্রাবের পর ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
থালাবাসনসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার পানিতে ধুতে হবে।
খাবার সঠিকভাবে রান্না করতে হবে। খাবার ভালোভাবে গরম করে খেতে হবে।
কাঁচা দুধ এবং কাঁচা দুধের তৈরি খাবার পরিহার করতে হবে।
আইসক্রিম, বরফ বা বরফ দেওয়া শরবতসহ বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার সময় সর্তক থাকতে হবে, সেটি বিশুদ্ধ পানির কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
বসতবাড়ি বা এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় যেন কোনো ধরনের ত্রুটি না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। পানির লাইনের সঙ্গে জীবাণু কোনোভাবে মিশে গেলে টাইফয়েডের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
টাইফয়েড প্রতিরোধে প্রয়োজনে ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। ইনজেকশন এবং মুখে খাওয়ার ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদ পরপর আবার ভ্যাকসিন নিতে হবে, একবার নিলে সারা জীবন সুরক্ষা দেবে এমনটা নয়।
টাইফয়েড জ্বর হলে অনেকেই ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে খান। এটি ঠিক নয়, বরং রোগের জটিলতা বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করে নির্দিষ্ট মাত্রার নির্দিষ্ট ওষুধ খেতে হবে। এতে রোগী যেমন সুস্থ হবে, অন্যদিকে তার মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
চিকিৎসকের মতে, টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। জ্বরের কারণে শরীরে পানি কমে যায়, অনেকের ডায়রিয়া হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরবত, স্যালাইন, ফলের রস, দুধ, ডিম পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
টাইফয়েড থেকে সদ্য সেরে ওঠার পর কী কী খাবেন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক—
এই সময়টায় পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। ভাত হজম হয় সহজে। তাই হালকা মশলায় রান্না মাছ, চিকেন ও সব্জি দিয়ে ভাত খাওয়া ভাল।
মুগ ডালের খিচুড়িও যথেষ্ট সহজপাচ্য। মুখ বদলাতে খিচুড়ি খাওয়া যায়।
আলু সেদ্ধ নুন গোলমরিচ ও সামান্য মাখন দিয়ে জলখাবারে খেতে পারেন।
মুগ ডালের দোসাও ভাল পথ্য।
ডিম সেদ্ধ বা ডিমের পোচ খাওয়া যায়।
মধু দিয়ে ফলের কাস্টার্ড পুষ্টিকর এবং উপাদেয়।
পরিজ, ইডলি জাতীয় খাবারও টাইফয়েডের পর দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
টাইফয়েড থেকে সদ্য সেরে ওঠার পরেও শরীরে জলের প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকে। তাই জলীয় খাবারের পরিমাণ বেশি হলেই ভাল।
ডাবের পানি, পাতিলেবু-পুদিনার শরবত, টাটকা ফলের রস (প্যাকেটবন্দি নয়), দইয়ের ঘোল বা বাটার মিল্ক, রসুন, আদা, তুলসী পাতা খেতে হবে নিয়ম করে। টাইফয়েডে এক দিকে জ্বর ও পেটের সমস্যায় ডিহাইড্রেশন হয়, অন্য দিকে প্রচুর ঘাম হয় বলেও শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। তাই বেশি জলীয় খাবার খাওয়া দরকার।
পর্যাপ্ত পানি আছে এমন ফল খেতে হবে। তরমুজ, মোসাম্বি বা বাতাবি লেবু, শসা, জামরুল-সহ সময়ের ফল খাওয়া উচিত।
দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া ভাল। তবে অনেকের দুধ সহ্য হয় না। তাঁরা দই, ইয়োগার্ট, লস্যি, ছানা ও পনির খেতে পারেন।
চিকেন ক্লিয়ার স্যুপ, মাশরুম স্যুপ, গাজর, বিনস স্যুপ, মুগ ডালের স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে মধু দিয়ে বাড়িতে তৈরি পুডিং ও কাস্টার্ড খাওয়া যেতে পারে।
চটজলদি ক্যালোরির জোগান দিতে পারে পাকা কলা।
টাইফয়েড থেকে সেরে উঠতে সুষম ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে মাস খানেক। প্রোটিন ভিটামিন ও পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট-সহ খাবার খাওয়া দরকার। তবে বেশির ভাগ মানুষেরই অরুচি হয় ও বেশি খেতে ভাল লাগে না। এঁদের অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়া উচিত।
যে সব খাবার মানা
টাইফয়েড সেরে গেলেও কিছু দিন খাবারে বিধিনিষেধ থাকে। হজম ক্ষমতা স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগে তাই খাবারের ব্যাপারে নিয়ম মেনে চলা ভাল।
হাই ফাইবার ফুড খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। স্যালাড জাতীয় খাবার কিছু দিন না খাওয়াই মঙ্গল।
কাঁচা পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ব্রকোলি খাওয়া চলবে না।
ব্রাউন রাইস, কিনোয়া, বাজরা, ওটস না খাওয়াই ভাল।
মুসুর ডাল, রাজমা, ব্ল্যাক বিনস, ঘুগনি খাবেন না।
ভাজাভুজি বিশেষ করে ডিপ ফ্রাই একেবারে মানা। পট্যাটো চিপস, ডোনাট, তেলেভাজা, সিঙ্গাড়া বাদ।
ফ্ল্যাক্সের বীজ, চিয়ার বীজ, কুমড়োর বীজ বন্ধ।
শুকনো মরিচ বা মরিচ দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে হজমের সমস্যা হবে। অল্প কাঁচা মরিচ ও সামান্য গোলমরিচ চলতে পারে। টাইফয়েড থেকে সেরে ওঠার পর সপ্তাহ দুয়েক এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সুবিধে হবে।
টাইফয়েডের মতো রোগ হলে যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণে পানি পান করুন। যে কোনও তরল খাবার খেতে পারেন। ফলের রস, হার্বাল চা-ও থাকতে পারে তালিকায়। টাইফয়েড থেকে ডাইরিয়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তা যাতে না হয় তাই তরল খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যে কোনও ফলের রস এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। তরল যত বেশি শরীরে ঢুকবে, শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। ফলে শরীর সুস্থ হবে তত তাড়াতাড়ি।
টাইফয়েডের রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর বেশি থাকলে পুরো শরীর ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছে দিতে হবে। অসুস্থতাকালীন সময়ে হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতিবার বাথরুম ব্যবহারের পর হাত পানি ও সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো যতদিন পর্যন্ত চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দিবেন ততদিন পর্যন্ত তা গ্রহণ করতে হবে।
একটি টাইফয়েড টিকা রোগের সূত্রপাত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আন্তর্জাতিকভাবে দুটি ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। একটি লাইভ, অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাকসিন যা মৌখিকভাবে নেওয়া হয়, অন্যটি একটি নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন যা শট হিসাবে দেওয়া হয়। উভয় টিকাই শরীরকে উদ্দীপিত করে, অ্যান্টিবডি তৈরি করতে যা টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই অ্যান্টিবডিগুলো আপনাকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে, যদি আপনি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হন।
(ঢাকাটাইমস/১৪ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন