১২ মাসের ১২ ছবি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের যে চিত্র তুলে ধরছে

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বিধ্বংসী পথ রেখে গেছে, যেখানে দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।

খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষা করা মানুষের দীর্ঘ লাইন একটি সাধারণ দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে জরুরি কক্ষে আহত বেসামরিক নাগরিকদের অবস্থা ভয়াবহ। পুরো পরিবারগুলো বোমা হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, শুধু দুঃখ আর হতাশা রেখে গেছে।

একসমযয়ের স্থিতিশীলতার প্রতীক বাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যারা এখন জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বা অস্থায়ী বাসস্থানে আশ্রয় চায়৷

গত বছরের এই চিত্রগুলো গাজার ফিলিস্তিনিদের দ্বারা সহ্য করা দুর্ভোগের একটি ভগ্নাংশ। সূত্র: আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনি শিশুরা রাফাহতে ত্রাণ সংস্থার সঙ্গে সারিবদ্ধ হয়ে বলছে, গাজা খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহের তীব্র সংকটে ভুগছে

১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ রাফা শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে নিহত একটি শিশুর জন্য শোক প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনিরা

১৮ মার্চ আল-রাবায়া পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত তাদের বাড়ির বাইরে পবিত্র রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করে

৮ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল আক্রমণে ধ্বংসস্তুপের মধ্য দিয়ে হাঁটছে

২৮ মে শহরে ইসরায়েলি হামলার সময় ফিলিস্তিনিরা রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে

ফিলিস্তিনিরা ২০ জুন দেইর এল-বালাহতে গাজার সর্বশেষ কার্যকরী ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টগুলোর একটির কাছে পানির জগগুলো পূরণ করছে৷ গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং জনসংখ্যার বিশাল অংশকে বাস্তুচ্যুত করেছে। অনেক ফিলিস্তিনি ক্রমবর্ধমান আবর্জনার স্তূপের কাছে তাঁবুতে বসবাস করছে৷

২২ জুলাই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর ধোঁয়া উঠছে

৫ আগস্ট খান ইউনিসে ইসরায়েল কর্তৃক হস্তান্তরের পর অজ্ঞাত ফিলিস্তিনিদের মৃতদেহ গণকবরে দাফন করার সময় লোকেরা দেখছে

ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনি শিশুদের ৫ সেপ্টেম্বর দেইর এল-বালাহর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে যেখানে বাকি কয়েকটি হাসপাতাল ওভারলোড এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য সংগ্রাম করছে

১ অক্টোবর দেইর এল-বালাহ শহরের একটি হাসপাতালে ফিলিস্তিনিরা গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত স্বজনদের জন্য শোক প্রকাশ করছে

১৮ নভেম্বর দক্ষিণ খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাপড়ের সন্ধান করছেন একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তি

২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহতে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে দুটি শিশুর মৃতদেহ দাফনের আগে জানাজার নামাজ পড়ান ইমাম ইসলাম আবু সুয়াইদ। এর মধ্যে একটি শিশু জন্মের সময় মারা গিয়েছিল। আর ২০ দিনের শিশু জোমা আল-বাত্রান ইসরায়েলের যুদ্ধের ফলে আশ্রয় এবং গরম পোশাকের অভাবের কারণে ঠাণ্ডা ও ভেজা আবহাওয়ায় মায়িত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ঠান্ডাজনিত কারণে অন্তত সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে

(ঢাকাটাইমস/০১জানুয়ারি/এফএ)