জবিতে চিকিৎসা কেন্দ্র আছে, সেবা নেই

প্রতিষ্ঠার উনিশ বছরেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেডিকেল সেন্টার আধুনিকতার ছোঁয়া পায়নি। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে রয়েছে একটি মেডিকেল সেন্টার। ডাক্তার রয়েছেন মাত্র দুজন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পরীক্ষাগার না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী এই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য আসেন। তবে সেখানকার অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও জনবল সংকটের কারণে তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। সেন্টারে ঠান্ডা, জ্বর, মাথাব্যথা কিংবা পেটব্যথার মতো সাধারণ রোগের কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও জটিল কোনো সমস্যার সমাধান বা ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। আধুনিক কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম বা ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেডিকেল সেন্টার বিকালে, রাতে এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে। ছাত্রীহল বা মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা এ সময়ে অসুস্থ হলে বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার হিসেবে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। তবে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে জবির শিক্ষার্থীরা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আমরা এখানে শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারি। আমাদের কোনো পরীক্ষাগার নেই। তবে প্রশাসন চাইলে সেন্টারটিকে আরও আধুনিক করা সম্ভব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘মেডিকেল সেন্টারের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি হাসপাতালে চিঠি পাঠিয়েছি, যাতে শিক্ষার্থীরা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সুবিধা পায়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
(ঢাকা টাইমস/২৪জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন