কুমিল্লায় জামায়াত কর্মীর পায়ে গুলি: ওসি-এসআইসহ ২৮ জনের নামে মামলা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ৯ বছর আগে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীর পায়ে গুলি করার অভিযোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, থানার ওসি, দুই এসআই ও চার পুলিশ সদস্যসহ ২৮ জনের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমিল্লা ৮ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক ফারহানা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বেলাল হোসেন মজুমদার।
বাদী বেলাল হোসেন মজুমদার উপজেলার দৌলখাঁড় ইউপির বাম (পন্ডিত বাড়ি) গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে কুমিল্লা আদালতে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলাটি আগামী সোমবার (২৭ জানুয়ারি) শুনানি হবে বলে জানা যায়। মামলার আসামিরা হলেন— সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু, ওসি নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র আব্দুল মালেক, এসআই বাবুর আলী, এসআই ফরিদ, পুলিশ সদস্য সামছুল হুদা, শাহ আলম, মোক্তার হোসেন ও আব্দুর ছাত্তারসহ ২৮ জন।
মামলার এজাহার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিগত সরকারের আমলে বেলাল হোসেন মজুমদার নিজ এলাকায় একটি মসজিদের ইমামতি করতেন। ওই সুবাদে বিভিন্ন সময় কোরআনের আলোকে মুসল্লিদের বুঝাতেন। এতে ওই আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘুমন্ত অবস্থায় বেলাল হোসেন মজুমদারকে তার বাড়ি থেকে তুলে এনে থানায় আটক রাখেন। পরে ভোর রাতে কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের লুদুয়া নামক স্থানে বেলালকে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সর্বশেষ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওসি নজরুল ইসলাম আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাম পায়ে গুলি করে। শুলির শব্দে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি করে আহত বেলালকে ভ্যানে করে তুলে নিয়ো নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
সেখানে বেলালের অবস্থার অবনত হলে ডাক্তারগণ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও কয়েকদিন ভর্তি থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বেলাল হোসেন মজুমদারের মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
(ঢাকা টাইমস/২৪জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন