কুমিল্লায় এক দিনে দুই মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণে এক দিনে দুই মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বসতঘরের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাহেদা আক্তার (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সাহেদা আক্তার উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের পূর্ব ধনুসারা গ্রামের মাওলানা আব্দুল মমিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে নিহতের বসতঘরের পার্শ্ববর্তী টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহটি পাওয়া যায়। নিহতের স্বামী মাওলানা আব্দুল মমিন বলেন, ‘আমি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করি। প্রতিদিনের ন্যায় আজও ভোরে ইমামতির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। বাড়িতে আমরা দুজনই থাকি। আমি মসজিদে নামাজ শেষ করে সকাল আনুমানিক ৭টায় বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে খোঁজ করি। ঘরে এবং বাড়ির আশপাশে কোথাও না দেখে ঘরের পার্শ্ববর্তী টয়লেটের বাইরে পায়ের জুতা এবং তার পরনের কাপড় দেখি। পরে পুলিশ এসে টয়লেট থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি জানার পরই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যা নাকি অন্য কিছু তা জানা যাবে।
অন্যদিকে একই দিন সকালে কুমিল্লার সদর দক্ষিণে মো. রিফাত হোসেন (৯) নামে এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন সকালে উপজেলার চন্ডিমুড়া পাহাড় থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মো. রিফাত হোসেন পার্শ্ববর্তী বরুড়া থানার চন্ডিপুর গ্রামের মো. রশিদের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এর আগে শনিবার রিফাত নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রিফাতকে না পেয়ে রিফাতের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পরে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চন্ডিমুড়া পাহাড়ে শিশুর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর দক্ষিণ থানার সাব ইন্সপেক্টর দিলীপ বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাথে সাথে সেখানে আমাদের টিম পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করি। লাশ শনাক্ত করে আমরা থানায় নিয়ে আসি। অনুমান করছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
(ঢাকা টাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন