খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষী না দেওয়ায় আমাকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়: বাবর

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষী না দেওয়ায় তাকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
নেত্রকোনা জেলার সন্তান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক বাবর দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগের পর সবকটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে নিজ জেলায় ফিরে আসেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত দাবি করেন।
বাবর বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগাপ্লুত। দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে কাটিয়ে আবার আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন আমাকে এই দীর্ঘ পথ চলতে শক্তি যুগিয়েছে। আমি আপনাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘জালিম খুনি হাসিনা সরকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে, অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে, কিন্তু আমি আপস করিনি। আমি সর্বদা সত্যের পথে ছিলাম, আছি, থাকব ইনশাআল্লাহ। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশবাসীর দোয়া, সমর্থন ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সব মামলায় খালাস পেয়েছি।’
বাবর বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমি আমার জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যাতে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়।’
তিনি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট অর্থোপেডিক চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক। সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন নাহীন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান নূরু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু তাহের তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. শফিকুল কাদের সুজা, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন খান মিল্কী, পূর্বধলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আলম তালুকদারসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/জেবি/এজে)

মন্তব্য করুন