কবিতা
কাকপক্ষী

রাত্রির শেষ প্রহরে,
নীল জ্যোৎস্নার ওপার দিয়ে উড়ে যায় এক কাকপক্ষী—
না সে কাক, না পুরোপুরি পাখি,
আলো-ছায়ার সীমারেখায় তার শীতল ডানার ভাষা।
.
গাছের ফাঁকে সে জানে কারা জেগে থাকে নিঃশব্দে,
প্রহরীর চোখ এড়িয়ে যে আত্মারা খোঁজে মুক্তি,
তাদের ডাকে, ফিসফিসে…
“তোমরা কি এখনো খুঁজো আকাশের ঠিকানা?”
.
ধোঁয়ার মতো মিশে থাকা বাস্তবতা ছেড়ে
সে ঢুকে পড়ে স্মৃতির অন্ধকার খোপে,
যেখানে পুরোনো দুঃখগুলো জেগে থাকে ধ্যানস্থ হয়ে,
আর সময় থেমে থাকে—তৃষ্ণার মতন।
.
কাকপক্ষী জানে,
আত্মা কেবল শরীর নয়,
কোনো বেদনার রঙে তার পালক রঞ্জিত,
আর ঈশ্বর?
সে তো কেবল এক শূন্যতা—অপরিচিত অথচ আপন।
.
আধেক নিঃশ্বাসে, আধেক প্রার্থনায়
সে উড়ে যায় আরো একবার—
ভোরের আগে, চোখের পেছনে,
তুমি তাকে দেখতে পাবে না,
তবে শুনতে পাবে—
তোমার অন্তরের নিঃশব্দ আকাশে,
সে কেবল কা কা কা সুরে বলে যায়…
“কী তুমি খুঁজো এত গভীর রাতে?”
মন্তব্য করুন