যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বাংলাদেশে পুশইন: দাবি বিএসএফ মহাপরিচালকের

যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বাংলাদেশে পুশব্যাক বা পুশইন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী– বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী দালজিৎ সিং চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফ হলে চার দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, “শুধুমাত্র অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধেই নিয়ম মেনে পুশইন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫৫০ জনকে বিজিবির হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে, এ সংক্রান্ত আরও ২৪০০ কেস যাচাই চলছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনও এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় বা রোহিঙ্গা নাগরিকদের পুশইন করার অভিযোগ সঠিক নয়। যদি কোনো ভারতীয় নাগরিকের ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাৎক্ষণিকভাবে ভারত গ্রহণ করবে।
তার ভাষায়, “সীমান্ত আইন লঙ্ঘনজনিত অপরাধের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ডিপোর্টেশনের বৈধ চ্যানেল রয়েছে এবং সেখান দিয়েই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।”
তবে এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “সম্প্রতি প্রকাশ্য দিবালোকে একজন অল্পবয়সী বাংলাদেশি নাগরিককে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। ওই শিশুটি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল সেটিই প্রশ্ন।”
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের বিষয়ে তিনি জানান, এ সম্মেলনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ মহাপরিচালক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সীমান্তে মারণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রাতের বেলায় টহল জোরদার করার পাশাপাশি সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়ার।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি চোরাচালান, মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে উভয় বাহিনী রিয়েল-টাইম তথ্য বিনিময়ের ভিত্তিতে কাজ করবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ২১ সদস্যের এ দলে বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, নৌ পরিবহন, সড়ক বিভাগ, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর, যৌথ নদী কমিশন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক দালজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ভারতের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এ দলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ছিলেন।
সম্মেলন শেষে আজ বিকালেই ভারতীয় প্রতিনিধিদলের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/এলএম)

মন্তব্য করুন