ডাকসু: ছাত্রদলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে একাধিক প্যানেল ইতোমধ্যেই নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ও ইশতেহার প্রকাশ করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রচারণা শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শুরু করেছে একাধিক প্যানেল। ডাকসু হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্বকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ ঢাবির ঐতিহাসিক অপরাজেয় বাংলা সংলগ্ন বটতলায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
খসড়া ইশতেহারে তারা আবাসন সংকট নিরসন, হল ও কো-কারিকুলাম কার্যক্রমের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য নিরাপত্তা, প্রশাসনিক সেবা ডিজিটালাইজেশন, লাইব্রেরি ও শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন সুবিধার উন্নয়নের মতো নানা প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদল সমর্থিত জোটের পক্ষ থেকে ভিপি প্রার্থী আবিদুর রহমান খান এ খসড়া ইশতেহার পাঠ করেন:
ইশতেহার লো হলো:
১নং ইশতেহার: শিক্ষা ও গবেষণা কে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক,আনন্দময়,বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়টা যেন প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী তাদের জীবনের সরাচায় মূল্যবান, শিক্ষণীয়, এবং একই স্যাথ আনন্দময় সময় হিসেবে মনে রাখাত পারে, সেই লক্ষ্যে সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ।
গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দমন-নিপীড়নের মতো ঘৃণিত চর্চা বন্ধ করে ক্যাম্পাসাক সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থেকে চিরকালের জন্য মুক্তকরণ।
ভয়মুক্ত পরিবেশে ও সম্প্রীতি নিশ্চিত কার সকল ধর্ম, বর্ণ, মত ও পথের শিক্ষার্থীর সহাবস্থান ও অধিকার চর্চার সুযোগ নিশ্চিতকরণ।
ক্লাসরুম সংকট নিরসনে সময়োপযোগী অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ও শ্রেণিকক্ষ বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু করা।
শিক্ষার্থী নিপীড়ন, র্যাগিং, অনলাইন-অফলাইনে ঘৃণা ও মিসইনফরমেশন প্রতিরোধে ডাকসুর অধীনে একটি স্বাধীন 'শিক্ষার্থী সুরক্ষা সেল গঠন ও শিক্ষার্থীদের যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা সেরা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন' চালু।
ক্যাম্পাসে মাদকসেবী ও ভবঘুরেসহ বহিরাগতদের অনধিকার প্রবেশ রোধ, পুরো ক্যাম্পাসে সিসিটিডি ক্যামেরা স্থাপন, ও রাতের আলো জ্বালানো নিশ্চিত করা। হলে বিশেষ সেল গঠন করে তার মাধ্যমে হলে কোনো প্রকার অছাত্র অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়াক একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে নতুন হল নির্মাণের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, যেন ভর্তির দিন থেকেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য 'একটি সিট ও একটি পড়ার টেবিল' নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
আবাসিক হলগুলোকে মশা ও ছারাপাকামুক্ত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের ওপর ভর্তুকি বৃদ্ধি, পুষ্টিবিদদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে খাবারসমূহের স্বাস্থ্যগুণ ও পুষ্টিমান নিশ্চিত করা, এবং সামগ্রিক পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার গুণগত উন্নতি।
বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগীয় এলাকা, যেমন মোকাররম ভবন, কার্জন হল, ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে নতুন ক্যান্টিন ও ক্যাফোটরিয়া স্থাপন, যেন সব শিক্ষার্থী সহজেই সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর খাবার পেতে পারে।
২ নং ইশতেহার: নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস,নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি-
নারী শিক্ষার্থীদের পোশাকের স্বাধীনতা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, এবং সার্বাচ্চ সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।
প্রতিটি আবাসিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তুকিতে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন, এবং হলের সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মী যেন নারী হয়, তা নিশ্চিতকরণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সার্বক্ষণিক নারী চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি নারী হলে স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট চালু করা।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোতে সান্ধ্য আইন বিলোপের মাধ্যমে রাতে প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধি, এবং এক হলের নারী শিক্ষার্থীদের অন্য নারী শিক্ষার্থী হলগুলোতে প্রবেশ ও সাক্ষাতের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা দূর করা।
জরুরি প্রয়োজনে হল থেকে প্রস্থানের জন্য লোকাল গার্ডিয়ানের অনুমতির জটিলতা দূর করে, নারী শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় হল প্রাভাস্টের অনুমতি সাপেক্ষে রাতে হল থেকে প্রস্থানের নিয়মের সহজীকরণ।
অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীরা যেন হল প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে আবাসিক হলগুলোতে যৌক্তিক সময়কালে রাত্রিযাপন করাত পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
পড়াশোনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতিকালে বেকার নারী গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ছয় মাস মেয়াদে স্বল্প খরচে আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করাত ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় হোস্টেল নির্মাণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
নারী শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক আইডিয়া বাস্তবায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণে সহায়তা করতে 'নারী উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তহবিল' গঠন এবং মেন্টরশিদ, প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ ইনকিউবেশন প্রোগ্রাম চালু।
৩ নং ইশতেহার: শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবীমা নিশ্চিত করা,এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণ ও চলাচল সহজতর করা-
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো তথা সার্বক্ষণিক ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স, ফার্মেসি সেবা নিশ্চিত করা এবং জরুরি ঔষধসমূহ বিনামূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা করা।
সকল আবাসিক হলে 24/7 অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ঔষধ ও ফার্স্ট এইড বক্সসহ মেডিকেল কর্নার স্থাপন করা।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য স্বাস্থ্য বীমা সেবার আওতায় নিয়ে আসা এবং বীমার টাকা দাবি ও প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করা।
শিক্ষার্থীদের মেন্টাল স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও ট্রমা মোকাবিলার মাধ্যমে তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে টিএসসিতে একটি 'মেন্টাল ওয়েলবিষিং সেন্টার' গড়ে তোলা।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য বিদ্যমান ভবনসমূহে র্যাম্প স্থাপন করা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমে ব্রেইল এবং অন্যান্য সহায়ক ব্যবস্থাসমূহ নিশ্চিত করা।
৪ নং ইশতেহার: কারিকুলাম, অবকাঠামো পরীক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং গবেষণার মানোন্নয়ন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে কিনা, সেটি নিয়মিত পর্যালোচনার জন্য ছাত্র, শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে কমিটি গঠন, যে কমিটির অন্যতম লক্ষ্য হবে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ সৃষ্টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অফিসকে গতিশীল করা।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে একটি বিশ্বমানের লাইব্রেরিতে রূপান্তরের লাক্ষ্য বিভিন্ন বিখ্যাত জার্নাল ও সার্চ টুলস-এর সাবস্ক্রিপশন নেওয়া, লাইব্রেরি সিস্টেমকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা, এবং আবাসিক হলসমূহের রিডিং রুম ও বিভাগীয় লাইব্রেরিসমূহের পরিবেশ ও সরঞ্জাম উন্নয়ন।
শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবধর্মী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন, এবং শিক্ষার্থীদের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত করে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা।
* ফ্রিল্যান্সিং, তথ্যপ্রযুক্তি, সফট স্কিলস ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিদেশি ভাষা শিক্ষা বিষয়ক বাস্তবমুখী ঐচ্ছিক কোর্স চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরি ও পেশাগত জীবনের উপযোগী করে তোলা।
ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া লিংকেজ তৈরি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং-এ উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
শিক্ষক বা প্রশাসনিক ব্যক্তির পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যকর প্রক্রিয়া, এবং রাজনৈতিক প্রভাব বা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সংস্কৃতি বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ এবং নিয়মিত পারফরমেন্স মূল্যায়ন।
৫ নং ইশতেহার: পরিবহন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ব্যাটারিচালিত শাটল সার্ভিস প্রচলন এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করা-
একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীধান, রেজাল্ট ও ফ্লাস কার্যক্রম নিশ্চিত করার পাশাপাশি তালুক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কোর্স, ওয়ার্কশন ও প্লেকার্ডড লেকার সহজলায় করা।
গাবষণার সালোয়ান গবেষণাগার আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দ্যোগে, পাবলিক-প্লাইটভেট পার্টনারশিন তৈরি, বিদেশে অবস্থানরত এলামনাইদের সম্পৃক্তকরণ, এবং গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি।
এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের ভালা আলাদা আরাসনের ব্যবস্থা ও আঅধিক হার মাসিক ভাতা প্রদানর উদ্যোগ, যেন পারষণাক উৎসাহিত করা যায় এবং প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সহায়তার সুযোগ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর পরিবেশবান্ধব ও ব্যাটারিচালিত পর্যান্ত পরিমাণ শাটল সার্ভিস চালু করা।
সকল রুট আপ ট্রিপ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ও ডাউনট্রিপ ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি কার, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সাথে সংযুক্ত সংখ্যা ও পরিসর যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করা।
বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়্যাক গ্লিন, ইয়েলো এবং রেক জোনে ভাগ করে গ্রিন জোন ঢাকা মেডিকেল, বাংলা একাডেমি ইত্যাদি জনবহুল জায়গা, ইয়েলো জোন- অডিটোরিয়াম এর মত এবিয়ো যেখান চাই, এলামনাই ও অताता ব্যক্তিবর্গ যথাযথ পরিচয় প্রদানের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারার, বেড জোন- আবাসিক ও একদাডনিক এরিয়া গুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ)।
কল্যাণপুর সিসার উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে একাধিক ডিপো হতে যানবাহন সরবরাহ করে দক্ষ চালক এবং যানবাহন সংকট দূরীকরণ।
প্রতিটি ব্যাস বাধারামূলকভাবে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা, যার মাধামে শিক্ষার্থীরা বাসের লাইভ লোকেশন ও সময়সূচি জানতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভান্তরীণ রুটে যান চলাচল ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য সকল যানবাহনের ফিটনেস নিয়মিতভাবে চেকিং করা।
ক্যাম্পাসে যানজাট কমাতে সাহাকল ও পরিবেশবান্ধর যাতায়াতকে অগ্রাধিকার দেওয়া, নিরাপদ হাঁটার জন্য ফুটপাত ও অভান্তরীণ রাস্তাগুলো সংস্কার করা।
৬ নং ইশতেহার: হয়রানি মুক্ত প্রশাসনিক সেবা, শিক্ষা ঋণ এবং ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা-
রেজিস্ট্রার ভবান লোকের পার আসেন কালচার দূর করে ভবনের সার্বিক কার্যক্রম হয়রানিমুক্ত, আধুনিক এরা গতিশীল করার লক্ষ্যে সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপট উত্তোলন, নানাবিধ ফি প্রদানসহ যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রনাকে প্রাণ-প্রাণ ডিজিটালাইতান্ড করা এবং ডিজিটাল সার্ভিস সানোর জন্য ডিজিটাল সাসোর্ট ডেস্ক তৈরি করা।
সরকারি-বেসরকারী উদেয়াস, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও এলামনাই এসোসিয়েশানর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাভিত্তিক বৃত্তি ও সহজলভ্য শিক্ষা ঋণ ব্যবস্থা চালু করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তার অধিক হারে পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা, বিশেষত ক্যাফেটেরিয়া, রেজিস্ট্রার বিল্ডিং, লাইব্রেরি, জিমানসিয়াম, বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প, টিউটোরিয়াল সাপোর্ট, ইত্যাদিতে শিক্ষার্থীদের ঘন্টা ভিত্তিক অন-ক্যাম্পাস কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ক্যারিয়ার ডোভলপমেন্ট অল্টারাক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ইন্টার্নশিন ও জব ফেয়ার আয়োজন করা, অন-সাইট রিক্রুটমেন্ট শুরু করা, এবং ব্রাইভেট-নাব্লিক জব প্লেসমেন্ট লেটওয়ার্ক তৈরি করা।
দেশবরেণ্য পেশাজীবি ও উদ্যোক্তাদেরকে আমন্ত্রণ করে নিয়মিত ক্যারিয়ার (জভলপমেন্ট শীর্ষক সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম এবং ট্রেনিং ও মোটিভেশনাল সেশন আয়োজন করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নতুন-নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিাত স্টার্টআপ ক্যাপিটাল ও মেন্টরশিণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা, এবং শেয়ার্ড ওয়ার্ক স্পেসের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
৭ নং ইশতেহার: তরুণদের গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্তকরণ ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি-
বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাঙ্গন গড়তে নৃগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি চর্চা উৎসাহিত করা।
খেলাধুলায় উন্নতির জন্য বার্ষিক আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল, ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধুলার টুর্নামেন্ট চালু করা, কেন্দ্রীয় জিমনেসিয়ামের আধুনিকায়ন, খেলার মাঠ ও ইনডোর সুবিধার সংস্কার এবং জাতীয় ও আন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে সহায়তা প্রদান।
ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাদক চক্র দমন, সুস্থ বিনোদন ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়ক গান-বাজনা, সুস্থ বিনোদনমূলক বিতর্ক, কমেডি, এবং নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
নাটক, শর্ট ফিল্ম, ফাটাগ্রাফি, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, সৃজনশীল লেখা ও চলচ্চিত্র নির্মাণসহ শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান।
কেন্দ্রীয়, হল ও বিভাগভিত্তিক প্রতিটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রীড়া সংগঠনের বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ যৌক্তিক হারে বৃদ্ধি করা।
প্রতিবছর 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অরুণোর উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের প্লাটফর্ম তৈরি করা।
৮ নং ইশতেহার: শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল সুবিধা,সাইবার সিকিউরিটি,এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধ-
বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত একাডেমিক ইমেইল আইডির স্টোরেজ লিমিট বৃদ্ধি, অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং তা ব্যবহার কার বিশ্বমানের অনলাইন জার্নাল ও লাইব্রেরি অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে ক্লাউড স্টোরেজ প্রদান।
মাইক্রোসফট অফিস, গুগল ড্রাইভ অ্যাপ্লিকেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ইত্যাদি প্রায়াজনীয় ডিজিটাল স্কিলসমূহে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ ও লার্নিং সেশন পরিচালনা করা। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন টুলস যেমন ক্যালডা, অ্যাডোবি ইত্যাদি সফটয়্যারের সাবস্ক্রিপশন প্রদান করা।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং, ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন।
শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধে একটি সাইবার সিকিউরিটি সেল, গঠন করা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, ফেইক নিউজ ইত্যাদি বিষায় সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করা।
শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আইনজীবীদের একটি প্যানেল তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে লিগ্যাল এইড সাপোর্ট ও কাউন্সেলিং সার্ভিস চালু করা।
৯ নং ইশতেহার: বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,পরিবেশ সংরক্ষণ,সবুজায়ন ও প্রাণীবন্ধব ক্যাম্পাস তৈরি-
প্রতিটি হল, কথাগুলাটতিয়ছ, একাডেমিক ভবন ও ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াকে কার্যকর করুর মাংচাম সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালাচর প্রাণ-প্রকৃতি, উদ্যান, গাছনালা ও সবুজ আ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করা। শিক্ষার্থীদের সয়ে নিয়ে কর্মসূচি আয়োজন করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুলজার নিমিত প্রতিটি অবকাঠামো জেল পরিবেশকঙ্কর হয়. মেটি লিঞ্চির করতে প্রণামাকে দায়বদ্ধ করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়াক একটি প্রাণীকন্তুর ক্যাম্পাসে রুপান্তরিত করার আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কমবাসরত প্রাণীদের জন্য প্রাবার ৬ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, প্রাণীর বিরুদ্ধে নির্যাতন প্রতিরোধ ও আদর দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
১০ নং ইশতেহার: কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণ-
একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আন্তর্ভুক্ত করা।
অকস্থাক শিক্ষার্থীদের রবুত প্রতিনিধিত্বশীল কার্যকর তিষ্ঠান হিমোর প্রতিষ্ঠা করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গারজাত প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে যোগাযাগ ও সহযোগিতা জোরদার করা।
শিক্ষনীদের চালা আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড, সিম্পোজিয়াম, করফারেজ, সেমিনার ও একাডেমিক এক্সচেঞ্জে একাগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি এ প্রয়োজন অনুসারে আন্তজাতিক প্রজিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্ম বিশ্ববিদ্যালয় হাত ফান্ড প্রদান করা।
(ঢাকাটাইমস/২৮ আগস্ট/এএইচ)

মন্তব্য করুন