মেয়েরাও দিগ্বিজয়ী হতে পারে

নিশাত মজুমদার
| আপডেট : ০৮ মার্চ ২০১৭, ১১:৩৪ | প্রকাশিত : ০৮ মার্চ ২০১৭, ১১:৩৩

দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস থেকেই পর্বতারোহণের রোমান্সটা জাগে। সাধারণ নারীদের চলাফেরার বাইরে এমন একটি ইচ্ছে যেখানে বিপদের হাতছানিও রয়েছে, সেক্ষেত্রে পরিবারকে পাশে পেয়েছি সব সময়। সামাজিকভাবে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি।

আসলে পরিবার যদি পাশে থাকে তাহলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যেহেতু মেয়েরা খেলাধুলা, ব্যায়াম কিংবা বাইরে কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে না কিংবা ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জিং কিছু করবে এ ধরনের কোনো ভাবনা নিয়ে বড় হয় না, ফলে আমাদের মেয়েদের শরীর পর্বতারোহণের জন্য প্রস্তুত থাকে না। সেক্ষেত্রে শারীরিক কিংবা মানসিক দিকটি তৈরি করা অনেকটা কঠিন ছিল।

অন্যদিকে পর্বতে যে ধরনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ে ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে সে সুযোগটাও নেই। ফলে দেশের বাইরে যেতে হয়। কিন্তু দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নেওয়াটা অবশ্যই ব্যয়সাধ্য। আবার দেশের ভেতরেই প্রাথমিক শেখার ব্যয়টাও আমাদের অধিকাংশ পরিবারের পক্ষে দুঃসাধ্য।

পাহাড় আরোহণ করার অভিযানে নারী-পুরুষের যৌথ যাত্রায় নিজেকে আলাদা করে একজন নারী ভাবার প্রয়োজন পড়েনি। এ যাত্রায় পুরুষ সঙ্গীরা অনেক সহযোগিতা করেন। গণমাধ্যমের ইতিবাচক প্রচারণায় অনেক পরিবার মেয়েদের এ পর্বতারোহণে উৎসাহী হচ্ছে। তবে যেহেতু এটা ব্যয়বহুল তাই আর্থিকভাবে সহায়তা পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। যদিও এখন বেসরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে এসেছে।

পর্বতারোহণটা যেহেতু ক্রিকেট কিংবা অন্যান্য ইভেন্টের মতো কোনো দর্শক নেই, তাই আগ্রহও নেই। দেখা যায় যে, একজনের জন্যই এক কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, তখন অনাগ্রহের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা নেই, এটা দুঃখজনক। আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি যদি ফেডারেশনের আওতায় আনা যায় তবে রাষ্ট্র কিছু দায়িত্ব নিবে এবং আর্থিক সুবিধাটাও দিতে পারবে। - সংকলন : তানিয়া আক্তার

নিশাত মজুমদার : এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী

ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/টিএ/টিএমএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :