ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক

দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে লাগছে সাত ঘণ্টা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৭, ১৯:৪৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে গাড়ির চাকা। টাঙ্গাইল থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বের ঢাকা পৌঁছাতে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে। এতে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরু হলে দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মহাসড়কের চারলেনের নির্মাণ কাজ চলা, যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি, অব্যাহত বৃষ্টি, যানবাহন বিকল হয়ে পড়া এবং খানাখন্দের কারণে এই যানজট হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।

তবে সড়ক দুর্ঘটনা ও মহাসড়কে যানবাহন বিকল হয়ে না পড়লে টাঙ্গাইল বাইপাস থেকে গোড়াই পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত না হলেও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকামুখী যানবাহন ডুকতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ওই এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। সেই যানজট দীর্ঘস্থায়ী হলে তা মির্জাপুর ছাড়িয়ে টাঙ্গাইলের দিকে দীর্ঘ হয় বলে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে মহাসড়কের পাকুল্যা এলাকায় সেনাবাহিনী সদস্যদের বহনকারী একটি বাসের সঙ্গে অপর একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

মির্জাপুর থানা, ট্রাফিক পুলিশ ও যানবাহনের চালকরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া গত কয়েক দিনে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনের গতি থাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া রাত ৪টার দিকে মহাসড়কের করটিয়াতে ঢাকাগামী পাথরভর্তি একটি ট্রাক রাস্তার ওপর উল্টে যায়। কালিয়াকৈরে একটি ট্রাক এবং মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় আরও দুটি ট্রাক দুর্ঘটনাকবলিত হয়। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোরে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকগুলো মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।

মহাসড়কের গোড়াই থেকে পাকুল্যা পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। এর মধ্যে ধেরুয়া রেলক্রসিংয়ে উড়াল সেতু না থাকার কারণে ট্রেন চলাচলের সময় কমপক্ষে পাঁচ মিনিট যানবাহন থেমে থাকছে। রেলক্রসিংয়ের পূর্ব পাশে সৃষ্ট বড় ধরনের একটি গর্তে যানবাহন আটকা পড়ে অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়। এতে যানজট বাড়ছে। মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেশি দেখা গেছে।

টাঙ্গাইলগামী যানবাহনের গতি থাকলেও ঢাকামুখী যানবাহনের চাকা কিছু সময় ঘুরলেও বেশি সময় থেমে থাকতে হচ্ছে। এত সব ঝক্কিঝামেলা কাটিয়ে কালিয়াকৈর অংশে পৌঁছলে চন্দ্রা এলাকায় যানবাহন থেমে থাকায় যানজট দীর্ঘ থেকে থেকে দীর্ঘস্থায়ী হয়। ফলে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা পৌঁছাতে যেখানে দুই ঘণ্টা লাগার কথা সেখানে অনেক সময় ৬/৭ ঘণ্টা সময়ও লাগছে। এই দীর্ঘস্থায়ী যানজটে আটকা পড়ে শত শত যানবাহনের হাজারো ছাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীরা বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মেজর (অব.) খন্দকার আবদুল হাফিজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ভোর ৪টা ২০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। সেখান থেকে সকাল সোয়া ১০টায় মির্জাপুরে আসেন।

পিআইবির সহকারী অধ্যাপক পঙ্কজ কুমার কর্মকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, সোমবার ভোরে ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মির্জাপুরে পৌঁছেছেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান পাটোয়ারী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের চারলেনের কাজ চলা, বৃষ্টি, মহাসড়কে যানবাহন বিকল হয়ে পড়া ও কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকায় ঢাকামুখী যানবাহন ঢুকতে সময় নেয়ায় যানজট দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে, ট্রাফিক ও থানা পুলিশ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :