‘শিক্ষার্থীরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসেনি, মামলা কেন?’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জুলাই ২০১৭, ০০:০৭ | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৭, ২২:৫৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরাতো কোনো অন্যায় দাবি নিয়ে আসেনি। একজনের চোখের অবস্থা করুণ আর এদিকে ১২০০ শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। তারা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয়। এ ব্যপারে সরকার পক্ষ থেকে সহায়তা করার দাবি জানান তিনি।

সোমবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কাজী রিয়াজুল হক এসব কথা বলেন।

জাতীয় মানবাধিকার কামিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি এই ছেলেমেয়েদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করবো। আমার মতে এখানে তারা এমন কোনো ঘটনা ঘটায়নি যাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। তারা (পুলিশ) তদন্ত করে দেখতে পারে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও পরীক্ষা দিতে পারছে না আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও পরীক্ষা দিতে পারছে না। এজন্যই তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছে।’

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এসেছিল পরীক্ষা দেয়ার দাবিতে। তারাতো পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আসেনি। এই যে ১২০০ ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে মামলা আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে এই মামলার জন্য সাধারণ ছেলেমেয়েদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তারা এখন একটি আতঙ্কের মধ্যে আছে। এই ঢালাওভাবে মামলা দেয়ার কালচার থেকে আমাদের বের হওয়া উচিত।’

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারা দেখছে তাদের জুনিয়ররা তাদের ব্যাচমেটরা এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের পরীক্ষা হচ্ছে না। তাদের বয়সের ব্যাপার আছে তারা হয়তো আগামী দিনে একটি চাকরির স্বপ্ন দেখছে সেখানে তারা পিছিয়ে পড়ছে এই দায়িত্বটা কে নেবে।’

পরীক্ষার ফল ও তারিখ ঘোষণাসহ সাত দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজগুলো হলো-ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাঙলা কলেজ। সাড়ে ১১টার দিকে তাদের শাহবাগ ছেড়ে যেতে বলে পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটওভার ব্রিজের পাশের অংশে অবস্থান নেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান এখন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাকে উন্নত উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এদিকে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। শাহবাগ থানায় করা মামলায় এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :