এস-৪০০ কিনতে কেন এত আগ্রহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৪৫ | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৪৩

গত মাসে সাইবেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ‘ভোস্তক-২০১৮ (প্রাচ্য-২০১৮)’ নামে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটিই ছিল রাশিয়ার সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া। এতে রাশিয়া, চীন ও মঙ্গোলিয়ার তিন লাখ সৈন্য অংশ নেয়।

রাশিয়ার জন্য এটি শুধু সামরিক অনুশীলন ছিল না। বিশ্বকে সামরিক সরঞ্জাম দেখানোর এটি কৌশল ছিল তাদের। তেলের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আয়ের খাত সামরিক অস্ত্র বিক্রি।

ভস্তক-২০১৮ মহড়ায় ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রদশর্নী করে রাশিয়া। সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে এটি রাশিয়ার তৈরি সবচেয়ে অত্যাধুনিক এবং বিক্রয়যোগ্য অস্ত্র ব্যবস্থা।

এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সম্প্রতি সিরিয়ায় প্রেরণ করা হয়। এর ব্যাপক উন্নয়ন করে এস-৪০০ তৈরি করেছে রাশিয়া। ব্যাপক ক্ষমতার কারণে চীন, সৌদি আরব, তুরস্ক, ভারত এবং কাতার এস-৪০০ কিনতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা প্রতিপক্ষের হুমকি সত্ত্বেও প্রায় প্রতিটি দেশের সরকার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার ঘোষণা দিয়েছে।

এ রকম পদক্ষেপের কারণ সম্পর্কে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আল জাজিরাকে বলেছে, এস-৪০০ শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকে অত্যাধুনিক নয়, এটি দীর্ঘ দিনের জোটের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি।

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের(এসআইপিআরআই) অস্ত্র স্থানান্তর ও সামরিক ব্যয় কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ গবেষক সিয়েমন ওয়েজম্যান বলেন, ‘এস-৪০০ বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পশ্চিমাদের অস্ত্রের মধ্যে এটিই সেরা।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাডার ও অন্যান্য সেন্সর রয়েছে। সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির বিমানবিধ্বংসী ও ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার। এর রাডার দিয়ে ৬০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। এটি সুনির্দিষ্টভাবে বড় কিংবা শক্তিশালী সম্ভাব্য সব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতে হানতে সক্ষম।’

এর আরো সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে- মডুলার বিন্যাস এবং উচ্চ গতিশীলতা। তার মানে হচ্ছে, মুহূর্তের মধ্যেই এটি চালু করা, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা এবং দ্রুত এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

বৈদিশিক সম্পর্ক পরিষদের সামরিক বিশেষজ্ঞ কেভিন ব্র্যান্ড বলেন, ‘এতে সব আকারের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যায়। দূরপাল্লা, মধ্যপাল্লা এবং স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। এটা নির্ভর করে একজন ব্যবহারকারী কিভাবে এস-৪০০ কনফিগার করতে চাচ্ছেন।’

ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্ক এস-৪০০ কিনতে চাওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। গত আগস্টে সামরিক কর্মকর্তাদের স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, খুব শিগগির আঙ্কারা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র পেতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মধ্যেই এস-৪০০ তুরস্কের কাছে সরবরাহ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

পাপুয়া নিউ গিনিতে ভয়াবহ ভূমিধস, জীবিত সমাহিত দুই হাজারেরও বেশি মানুষ

রাফাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩৫

পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব: পানিতে ভাসছে স্টেশন, মেট্রোরেল বন্ধ! 

অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক ইসরায়েলি সেনাকে ‘বন্দি’ করার দাবি হামাসের

এবার তেল আবিবে হামাসের রকেট হামলা, রাফায় ব্যর্থ ইসরায়েল আর্মি!

জাবালিয়ায় ইসরায়েলি ট্যাঙ্কে হামলার দাবি কাসেম ব্রিগেডের

ভারতে গেম আর্কেডে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২৭

আইসিজের আদেশ মানা বাধ্যতামূলক: ইইউ

আদালতের আদেশ মানা বাধ্যতামূলক, ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব

আইসিজের রায়ে উদ্বিগ্ন নেতানিয়াহু, ডেকেছেন জরুরি বৈঠক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :