এনজিও কর্মী রণজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করলেন ঋণগ্রহিতা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ২২:১১

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এনজিও কর্মী রণজিৎ কুমার রায় হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ঋণগ্রহিতা ছানোয়ার হোসেন। শনিবার বিকালে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আলাদতে ১৬৪ ধারায় ছানোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে সোমবার বিকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ছানোয়ার জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছে, এনজিওকর্মী রণজিৎ কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে ছানোয়ারের স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করেন। এ দৃশ্য ছানোয়ার দেখে ফেললে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এনজিওকর্মী রণজিৎকে হত্যার উদ্দেশে শরবতের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে। তারপর গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বসতঘরের কোণে লাকড়ির আড়ালে লাশ ফেলে রাখে। ওই রাতে সুযোগ বুঝে রণজিতের লাশ কাধে করে উপজেলার দুল্যামুনসুর সেতুর নিচে ফেলে রাখে বলে ছানোয়ার জবানবন্দিতে জানিয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর দিন সকালে মির্জাপুর থানা পুলিশ নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় দুল্যামুনসুর সেতুর নিচ থেকে রণজিৎ কুমার রায়ের (৩০) লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া সন্ধ্যায় ছানোয়ারের বাড়ির কাছ থেকে তার বাইসাইকেল ও ব্যাগ এবং বাড়ির ভেতর থেকে মোবাইল, স্যান্ডেল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ।

বুধবার সকালে রণজিতের লাশ উদ্ধারের পর ঋণগ্রহিতা ছানোয়ারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ছানোয়ারকে শনিবার বিকালে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দি দেয় বলে পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন জানান।

পলাতক ছানোয়ারের স্ত্রী রোকসানাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

রণজিৎ ‘দিশা এনজিও’র মির্জাপুর শাখায় সিনিয়র ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রণজিৎ কুমার রায় ঠাকুরগাঁও জেলার কোষামন্ডল গ্রামের অতুল রায়ের ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :