ওজন স্তরের ফুটো বাড়ছেই...

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল ২০২০, ২০:০৮
অ- অ+

করোনার দাপটে দীর্ঘ লকডাউন পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকাংশে। যার জেরে দূষণের অভিশাপকে কিছুটা রোধ করা গিয়েছে বলে হাতে-কলমে প্রমাণ মিলছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এরই মধ্যে আরেক আশঙ্কার কথা শোনাল পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল। মাসখানেক ধরে সুমেরু অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে তৈরি হয়েছে একটি বড়সড় ছিদ্র। যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) একদল বিজ্ঞানীর মতে, ওজন স্তরে এত বড় মাপের ছিদ্র তৈরি হওয়া ব্যতিক্রমী ঘটনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। আর এই ছিদ্র পৃথিবীর স্বাস্থ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলবে। ওজন স্তরের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল।

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে, তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এখন মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে এমনতিই পাতলা হচ্ছে ওজন স্তর। তার উপর আবার এত বড় ছিদ্র তৈরি হওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বাধাহীনভাবে পড়বে সরাসরি ভূপৃষ্ঠের উপর। তার প্রভাব যে কী মারাত্মক হতে চলেছে, তা নিয়েই চিন্তিত বিজ্ঞানীরা।

কিন্তু কেন ওজন স্তরে এই ক্ষত? বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, দূষণ কমতে থাকায় মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলে তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না। উষ্ণ আর শীতল বায়ুর সংঘাতে মেরু ঘূর্ণাবর্তও কম। এই ঘূর্ণাবর্ত যত হয়, তত ঝঞ্ঝা থেকে বাঁচতে ওজন স্তরের বিস্তারও ঘটে। কিন্তু ঘূর্ণাবর্ত না থাকলে, বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট স্তরে ওজন গ্যাস থেকে যায়। ফলে তাকে ভেদ করা সহজ। এখন যা হচ্ছে।

তবে এই ঘটনার রেশ কতটা পড়বে পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর কিংবা এই ছিদ্র পরে কীভাবে মেরামত হবে, সেই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ।

(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ পৌরসভায় শেষ হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল মারল কে?
কিছু ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ 
সিলেট থেকে ৪১৮ যাত্রী নিয়ে মদিনায় গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা