প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছেলের পরিবারে ঠাঁই হলো সেই দুই মায়ের
বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া সেই মাকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাড়িতে ঠাঁই পেলেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর লোকলজ্জার ভয়ে নিজের মাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন ফজলুর রহমান নামে তারই ছেলে।
এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের কশালবাড়ি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রীকে তার ছেলেরা কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ঝড় উঠলে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়।
বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন আকচা ইউনিয়নের কশালবাড়ি গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধা আমেনা বেগম (৭৬) ও তার ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে ওই মাকে তার ছেলেদের বাড়িতে তুলে দেন। এ সময় নির্বাহী অফিসার তার ছেলেদের তার মা’সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঠিকভাবে পরিচর্যা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং আবার কোনভাবে তাদের মাকে বের করে দিলে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আমেনা বেগমকে শাড়ি, কম্বল ও শুকনো খাবার প্রদান করেন আব্দুল্লাহ-আল-মামুন এবং তার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
অপরদিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর গ্রামের মৃত বিষু মহাম্মদের স্ত্রী ফজিরন বেগমকে ১০ বছর পূর্বে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার ছেলে ফজলুর রহমান ও পুত্রবধূ ফিরোজা বেগম। ছেলের বাড়ির পাশে স্থানীয়রা বাঁশ ও টিন দিয়ে বৃদ্ধার একটি ঘর তুলে দিলে সেখানে বসবাস করছিলেন বৃদ্ধা ফজিরন।
এদিকে করোনায় খাদ্যসংকটে পড়া ওই বৃদ্ধার খোঁজ পেয়ে রুহিয়া মানবতার ভান্ডার সংগঠনের সদস্যরা বুধবার বিকালে ইউএনওর সহযোগিতায় ইট বালি দিয়ে পাকা বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার ছেলে ফজলুর রহমান বৃহস্পতিবার ভোরে মায়ের পুরাতন ঘরসহ মাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, পুত্রবধূ ফিরোজা বেগম মাঝে মাঝে শাশুড়িকে খাবার না দিতে গেলে নাক চেপে ধরে খাবার দিতে যেত। যেদিন খাবার দিত না সেদিন প্রতিবেশীরা তাকে খাবার পৌঁছে দিত।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এলএ)