মরিচের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের

আসাদুজ্জামান লিমন, মানিকগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ২০ মে ২০২০, ১২:৪৩

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মরিচের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। করোনার কারণে অবিক্রিত রয়েছে অধিকাংশ মরিচ। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে উৎপাদিত মরিচ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে বিক্রি হয়। এবার বাম্পার ফলন হলেও করোনার কারণে দাম না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে মরিচ চাষিরা।

চাষিরা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগেও মরিচের মণ বিক্রি হত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। কিন্তু বর্তমানে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি মণ মরিচ তুলতে খরচ হচ্ছে ২০০ টাকা। এতে উৎপাদন খরচই উঠছে না।

হরিরামপুরের ঝিটকা হাট এলাকার মরিচ চাষি সোবাহান আলী বলেন, এ বছর তিন একর জমিতে মরিচ চাষ করেছি। প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক ও পরিচর্যার কারণে ফলনও ভাল হয়েছে। কিন্তু বাজারে ক্রেতা ও দাম না হওয়ায় প্রতি মণ মরিচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

বাল্লা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি কেজি মরিচ ক্ষেত থেকে তুলতে পাঁচ টাকা করে পারিশ্রমিক দিতে হয়ে। তারপর বাজারে গাড়ি ভাড়া দিয়ে তা বিক্রি করতে হয় ৭-১০ টাকা কেজি দরে। সার, কীটনাশক ও পরিচর্যা খরচ হিসেব করলে ক্ষতি ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনা। সরকারি বা বেসরকারিভাবে মরিচ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই কম দামে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া গত বছরের চেয়ে এ বছর হরিরামপুরে কয়েক হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা "কৃষক বন্ধু ডাক" যোগাযোগ গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এতে প্রান্তিক কৃষকেরা ভাল মূল্য পাবেন এবং লাভবান হতে পারবেন।

ঢাকাটাইমস/২০মে/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :